শ্রীনি কি কাঁটার মুকুট পরলেন, এ বার রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট
মাউন্ট রোড রাস্তাটা হল চেন্নাইয়ের চৌরঙ্গি। রোববার বিকেলে সেই মাউন্ট রোডের একটা ধার পুলিশে ছয়লাপ। রাস্তার একটা অংশে সাময়িক গাড়ি চলা বন্ধ। ভিড় জমে গিয়েছে। এক জন বললেন, নির্ঘাৎ তামিল ছবির কোনও জনপ্রিয় অভিনেতার শ্যুটিং চলছে। কাছে গিয়ে দেখা গেল, শ্যুটিং নয়, ভিড় দু’টো কারণে। ল্যাম্পপোস্টে হাত রাখা কোনও পথচারী অতর্কিতে ইলেকট্রিক শক খেয়েছেন। তাঁকে ধরাধরি করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আর বাকি ভিড়টা রাস্তার বড় টিভি দোকানের সামনে। সেখানে নিউজ চ্যানেলে লাইভ দেখানো হচ্ছে, নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসন তৃতীয় বারের জন্য বোর্ড প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে হোটেল ছেড়ে গাড়িতে উঠে যাচ্ছেন। টিভিতে লাইভ ওয়ান ডে বা টি-টোয়েন্টি দেখার জন্য লোকে এত ভিড় করে। ধোনি হলে বোঝা যেত, কিন্তু শ্রীনি?
স্থানীয় সাংবাদিক ব্যাখ্যা করলেন, তামিল এবং বিশেষ করে আয়েঙ্গার ব্রাহ্মণ সমাজে শ্রীনির এখন যা মর্যাদা, জগমোহন ডালমিয়ার সেরা সময়েও কলকাতায় ছিল না। ভারতীয় বোর্ডে অধিষ্ঠান যত না এর কারণ, তার চেয়ে বেশি কারণ সিএসকে। চেন্নাইয়ের এত কাল কোনও মোহনবাগান ছিল না। কোনও ইস্টবেঙ্গল ছিল না। কোনও ‘মুখ’ ছিল না। হলুদ জার্সির সিএসকে তৈরি করে সেটাই করে দিতে পেরেছেন শ্রীনি। তাই তাঁর এত জনপ্রিয়তা। শ্রীনি যে মামলা-মোকদ্দমায় এত অপদস্থ হচ্ছেন, সারা ভারত তাঁকে খলনায়ক হিসেবে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে, এই দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে বৃহত্তর চেন্নাই এতটুকু একমত নয়। তারা মনে করে, দক্ষিণ ভারতের নায়কের বিরুদ্ধে এটা উত্তর ও পশ্চিম ভারতের সম্মিলিত চক্রান্ত। চেন্নাইয়েই প্রাক্তন ক্রিকেট কর্তা মুথাইয়ার মতো অনেকে আছেন, যাঁরা শ্রীনিবাসনের সফল হওয়ার ফর্মুলা নিয়ে নিরন্তর প্রশ্ন তুলেছেন। সেই ফর্মুলা বলে, পৃথিবীতে প্রত্যেকের একটা করে বিক্রয়মূল্য আছে। কারও বেশি, কারও কম। তোমার যাকে যাকে প্রয়োজন, তাদের দরটা খেয়াল রেখো। আর সেটা সব সময়েই দিতে তৈরি থেকো। চেন্নাই মিডিয়ার একাংশ একে ‘ফর্মুলা ৪২০’ আখ্যা দিয়েছে। শ্রীনি তাতে পাত্তাই দেননি। আর আজ শহরে বৃহত্তর জনমত তো সেই সব আওয়াজকে অদূরের মেরিনা বিচে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে।

তৃতীয় বার বোর্ড প্রেসিডেন্ট হয়ে হোটেল থেকে
বেরোনোর পথে শ্রীনিবাসন। রবিবার চেন্নাইয়ে। ছবি: পিটিআই।
যাক গে সে সব কথা। তাঁর প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বীর জন্মদিন ছিল এ দিন। শশাঙ্ক মনোহর পা দিলেন ছাপান্নতে। আর সে দিনই কি না নতুন করে রাজ্যাভিষেক ঘটল শ্রীনিবাসনের!
এই অবধি পরিষ্কার অ্যাডভান্টেজ শ্রীনিবাসন। দৃশ্যত পরিস্থিতি অনুকূলে। সমস্ত বিরোধীকে নৃশংস ভাবে বাদ দিয়ে দিয়েছেন নতুন প্যানেল থেকে। প্রত্যেকটা লোক হাতে গোনা নিজের লোক। এমনকী পূর্বাঞ্চলে এমন বিভাজন ঘটিয়ে দিয়েছেন যে, সর্বসম্মতিক্রমে নেতা নির্বাচনের দিনেও তাদের মধ্যে কাজিয়া অব্যাহত থাকল। ওয়ার্কিং কমিটিতে এনসিসি-র টার্ম কেন মেনে নেওয়া হবে, তা নিয়ে বোর্ড প্রধানের কাছে প্রকাশ্য অভিযোগ জানাল পূর্বাঞ্চলের অন্য রাজ্যগুলো। অর্থাৎ ডালমিয়া থেকেও পূর্বাঞ্চলে বাংলা সম্পূর্ণ নিঃসঙ্গ। এমনকী নির্বাচক কমিটিতেও তাঁর ছায়া বিস্তার অব্যাহত রাখলেন শ্রীনি। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে ফেরত আনলেন না কোনও কমিটিতে। মোহিন্দর অমরনাথের নাম নতুন করে বিবেচনা করলেন না। আইপিএল কাউন্সিলের জন্য ভেবে রাখলেন নির্বিরোধী গুন্ডাপ্পা বিশ্বনাথকে। এমনকী জুনিয়র নির্বাচক কমিটি থেকে চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতকে সরিয়ে দিলেন। শ্রীনির ক্যাপটিভ অডিয়েন্স হল দক্ষিণ এবং পূর্ব। উত্তর বা পশ্চিম ভারতকে বিশ্বাস করেন না। পাছে মুম্বইয়ে শরদ পওয়ার ক্ষমতায় এসে চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতদের উপর দল নির্বাচনে প্রভাব খাটান, তাই পণ্ডিতকে ছেঁটে ফেলা হল। নিজের পছন্দের লোকেদের অবাধে বিলোলেন ভাল ভাল পদ। সৌরভ-মোহিন্দরের দেশে কি না রঞ্জিব বিসওয়াল হয়ে গেলেন আইপিএল চেয়ারম্যান! পরম ভালবাসার গঙ্গা রাজু হয়ে গেলেন ফিনান্স কমিটির প্রধান। ঝাড়খণ্ডের অমিতাভ চৌধুরি হলেন মার্কেটিং কমিটির প্রধান। কেরলের ম্যাথেউকে দিলেন এনসিএ প্রধানের পদ। পুরোটাই অনুগতদের মধ্যে দাক্ষিণ্য বিলোনো। দৃশ্যত সমস্ত পথের কাঁটাকে উড়িয়ে নিজের সাম্রাজ্যকে নিষ্কণ্টক বানানো।
সমস্যা হল, এটা একান্তই কাহিনির বহিরঙ্গ। শনিবার ভারতীয় বোর্ডের যে বার্ষিক নির্বাচন শেষ হল, তা নিছকই নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রথমার্ধ। বিরতি হলো বলা যায়। দ্বিতীয়ার্ধ শুরু সোমবার, সুপ্রিম কোর্টে। যেখানে প্রথম এক ঘণ্টায় প্রকৃত বোঝা যাবে, শ্রীনি যে মুকুট রোববার মাথায় চড়ালেন, তা সোনার না কাঁটার?
শ্রীনি পদে থাকা মানে টিম স্পনসর সহারা সরে গেল।
শ্রীনি থাকা মানে পুণে ওয়ারিয়র্স সরে গেল।
শ্রীনি থেকেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টির টিআরপি ১-২-তে উঠছে না।
শ্রীনি থেকেও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজের কোনও টাইটেল স্পনসর পাওয়া যাচ্ছে না।
কিন্তু এগুলো তো দায়িত্ব নেওয়ার পর সম্ভাব্য সব এক একটা ঢেউ। দায়িত্ব কতটা পেলেন, সেটারই তো বিচার হবে সুপ্রিম কোর্টে। আর তাই রাজ্যপাটে ফের বসেও ঘনিষ্ঠদের শ্রীনি বলেছেন, মনের মধ্যে একটা অশান্তি থেকেই যাচ্ছে তাঁর। শত্রুর জন্মদিনে উচ্চাকাঙ্ক্ষার শৃঙ্গে আরোহণ ব্যাপারটা এই পর্যায়ে উঠল না কিছুতেই।
বরঞ্চ সোমবারের সুপ্রিম কোর্ট তিন সম্ভাবনা তৈরি করেছে। আদিত্য বর্মা এ দিন ফোনে বললেন, “কালকে ডালমিয়ার পর আমাকে আজ বিন্দ্রা ফোন করেছেন। নিরঞ্জন শাহ ফোন করলেন। সবাই বলছেন, আদিত্য তুমিই ভরসা। আমি ওদের বলেছি ভরসা আমি নই। আমার গুরুজি ভরসা।” এই গুরুজি আবার কে, জিজ্ঞেস করায় আদিত্য বললেন, “এই তো তাচ্ছিল্য করছেন? হরিশ সালভেকেও যখন আমি প্রথম বলেছিলাম, আমার গুরুজি বলে দিয়েছেন তোকে কেউ আটকাতে পারবে না, তখন উনি মুখ টিপে হেসেছিলেন। বলেছিলেন, গুরুজি-টুরুজি কোর্টে চলে না। আজকে সেই সালভে সাহেবও বললেন, আপনার গুরুজির নম্বরটা দেবেন তো।”
আদিত্য যতই গুরুজিতে আচ্ছন্ন থাকুন, সোমবার ভক্তি বা আবেগের কোনও স্থান নেই। আছে আইনি যুক্তির, যা তিন রকম সম্ভাবনা খোলা রেখেছে।

সম্ভাবনা এক: শ্রীনিকে ছাড় দিয়ে দিল আদালত। বলল, ঠিক আছে আপনি নির্বাচিত হয়েছেন। এ বার সব রকম ক্ষমতা ভোগ করুন। তখন সত্যিই তিনি ক্রিকেট সাম্রাজ্যের দণ্ডমুণ্ডের কর্তা বনে যাবেন। মুকুটটা সোনারই হয়ে যাবে।
সম্ভাবনা দুই: কোর্ট তাঁর নির্বাচনই অবৈধ ঘোষণা করে দিল। সে ক্ষেত্রে শ্রীনিবাসন সেঁধিয়ে যাবেন সাময়িক বিস্মৃতিতে। কারণ এক বার অবৈধ ঘোষিত হয়ে গেলে নতুন করে নির্বাচনেও তিনি দাঁড়াতে পারবেন না।
সম্ভাবনা তিন: কোর্ট বলল, আগের দিন যা নির্দেশ দিয়েছিলাম, সেটাই বহাল রাখছি। নতুন করে তদন্ত কমিটি গঠন করুন। তারা গুরুনাথ মইয়াপ্পনের ঘটনা সম্পর্কে নিরপেক্ষ তদন্ত করুক। তত দিন আপনি চেয়ারে বসতে পারবেন না। অর্থাৎ, আপনার রাজত্ব থাকবে। সিংহাসন থাকবে না।
শ্রীনি-ঘনিষ্ঠদের মনে হচ্ছে তৃতীয় সম্ভাবনাটা খুব জোরালো। আদালত আগের দিন যেমন উষ্মা প্রকাশ করেছে, তাতে নির্বাচনের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে বেকসুর খালাস দিয়ে দিলে শ্রীনি নিজেই বোধহয় যৎপরোনাস্তি আশ্চর্য হয়ে যাবেন। পুরো ছাড় পাবেন না ধরে নিয়ে তিনি তাই ঘুঁটি সাজানো শুরু করে দিয়েছেন। ধরেই নিয়েছেন রাজ্য চালাতে হবে প্রক্সিতে। অতএব প্রত্যেকটা জায়গায় বসিয়েছেন নিজের পেয়ারের লোকদের। যাতে রিমোট কন্ট্রোলে নিজের পছন্দ অনুযায়ী কাজ করাতে পারেন। প্রত্যেকেই তো নিজের লোক। যা বলবেন তারা তা-ই শুনবে। এ দিনের বৈঠকে আগাম তেমন একটা ব্যবস্থা করিয়েও রেখেছেন। বলেছেন, আমার অনুপস্থিতিতে সব সিদ্ধান্ত নেবে পদে থাকা অন্য লোকেরা।
এখানেই শ্রীনি-কাহিনির সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীরা মনে করছেন, বোর্ডের সংবিধানে কোথাও নেই, প্রেসিডেন্ট নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়লে বাকিরা বোর্ড চালাতে পারবে। বরং আছে যে, প্রেসিডেন্ট নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়লে বোর্ড চালাবে ওয়ার্কিং কমিটি। ওয়ার্কিং কমিটির প্রধান কে হবেন, সেটাও নির্দিষ্ট নয়। প্রতিটি বৈঠক তার নিজস্ব চেয়ারম্যান নিযুক্ত করবে। ওয়ার্কিং কমিটির নির্দেশ অনুযায়ী বোর্ড চলবে। বাকি সদস্যরা কী বললেন সেটা আর গুরুত্বপূর্ণ হবে না। বিরোধীদের হিসেব অনুযায়ী, ওয়ার্কিং কমিটিতে এ বার তাঁরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। কারণ, এ বার তাতে এমন সব রাজ্য সংস্থা রয়েছে, যেমন বিদর্ভ, যেমন পঞ্জাব, যেমন মুম্বই যারা শ্রীনির ভোটার নয়।
বিরোধীরা এ-ও বলছেন, সিএবি এবং এনসিসিকে প্যানেলে কী ভাবে গুরুত্বহীন করেছেন শ্রীনি! কাগজের হিসেবে হয়তো একাধিক পদ দিয়েছেন। চিত্রক মিত্রকে ভাইস প্রেসিডেন্ট রেখেছেন। কিন্তু কোথাও কাউকে নিয়ন্ত্রণ হাতে দেননি। সবচেয়ে অবহেলা করেছেন জগমোহন ডালমিয়াকে। এ দিন বিরোধী গোষ্ঠীর এক নেতা বলছিলেন, ডালমিয়াকে কি না রাখা হয়েছে নর্থ-ইস্ট ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান করে! যে কমিটির গত আট বছরে একটাও সভা হয়নি। যে লোকটা আইসিসি চেয়ারম্যান ছিল, যে কি না এত বছর বোর্ড শাসন করেছে, সে এই পদটা মেনে নিচ্ছে? ভাবাই যায় না! তাঁদের অবশ্য ধারণা, ডালমিয়া যদি কমিটি প্রত্যাখ্যান না-ও করেন, ভেতরে ভেতরে শ্রীনির প্রতি রুষ্ট থাকবেন। সবচেয়ে বড় কথা, তাঁদের ছকে ১৮ অক্টোবর মুম্বইয়ের ক্ষমতায় এসে যাচ্ছেন শরদ পওয়ার। সরাসরি ওয়ার্কিং কমিটিতেও ঢুকছেন। এঁদের ধারণা, ভোটাধিক্যে পওয়ার দ্রুতই ওয়ার্কিং কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দেখা দেবেন। আর তখন রাজা থেকেও রাজ্যপাটের অধিকার থাকবে না শ্রীনির হাতে।
অর্থাৎ বিরোধীদের হিসেব মতো, তিন সম্ভাবনার শেষের দু’টো হলেও চলবে। আদালত যা নির্দেশ দিয়েছে, সেটা ধরে রাখলেও চলবে। শ্রীনির পক্ষে কাঁটা হিসেবে সেটাই যথেষ্ট।
তা হলে কী দাঁড়াল? জন্মদিনের উৎসব করা উচিত মনোহরের? নাকি মনোহরের জন্মদিনে শ্রীনির বাড়তি উৎসব করা উচিত?
এটাও সোমবারের বারবেলায় সুপ্রিম কোর্ট ঠিক করবে!
খেলা এখন
প্রথমার্ধ: রবিবার, পার্ক শেরাটন হোটেল, চেন্নাই বিনা বাধায় ফের প্রেসিডেন্ট শ্রীনিবাসন, বিভিন্ন পদে অনুগতরা
দ্বিতীয়ার্ধ: আজ, সোমবার, সুপ্রিম কোর্ট, দিল্লি
তিন সম্ভাবনা
শ্রীনিকে ছাড় কোর্টের, নির্বাচনকে স্বীকৃতি।
নির্বাচন অবৈধ ঘোষণা। সে ক্ষেত্রে নতুন করে ভোটেও দাঁড়াতে পারবেন না।
আগের নির্দেশই বহাল। নয়া তদন্ত কমিটি গড়তে বলল কোর্ট। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত পদে থাকা সত্ত্বেও নিষ্ক্রিয় শ্রীনিবাসন।
শ্রীনির ছক
• তাঁর অনুপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নেবেন পদাধিকারীরা।

বিরোধীদের যুক্তি
• প্রেসিডেন্ট নিষ্ক্রিয় হলে বোর্ড চালাবে ওয়ার্কিং কমিটি। যার নিয়ন্ত্রণ শ্রীনির হাতে না-ও থাকতে পারে।

পুরনো খবর:




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.