এক সহকর্মীকে খুন ও আর এক সহকর্মীকে খুনের চেষ্টায় রঞ্জন কোঁড়া নামে এক যুবককে দোষী সাব্যস্ত করলেন বোলপুরের অতিরিক্ত জেলা জজ মানস বসু। আজ, সোমবার সাজা ঘোষণা হবে। সরকারি আইনজীবী তপনকুমার দে বলেন, “বোলপুর থানা এলাকার একটি হোটেলের কর্মী প্রদীপ মণ্ডলকে খুন ও নবকুমার মাইতিকে খুনের চেষ্টায় তাঁদের সহকর্মী রঞ্জন কোঁড়াকে শুক্রবার বিচারক দোষী সাব্যস্ত করেছেন।”
২০০৯ সালের ৫ অক্টোবরের ঘটনা। ওই দিন সকালে শ্রীনিকেতন-ইলামবাজার রাস্তার উপরে থাকা ওই হোটেলের দোতলার বারান্দার আলো নেভাতে গিয়ে দু’টি রুমের (৬ এবং ৭) মেজে থেকে রক্ত ঝরতে দেখেন কর্মী শ্যাম প্রামাণিক। ৭ নম্বর রুমটি ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। ৬ নম্বর রুমে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিলেন কর্মী নবকুমার মাইতি। পুলিশের উপস্থিতিতে বন্ধ ঘরের দরজা খুলে দেখেন কর্মী প্রদীপ মণ্ডলের রক্তাক্ত নিথর দেহ পড়ে আছে। ঘটনার পর থেকেই স্থানীয় কাশিমবাজারের বাসিন্দা ওই হোটেলের কর্মী রঞ্জন কোঁড়ার খোঁজ মিলছিল না। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় রঞ্জনকে ওই হোটেলের আশপাশে সন্দেহজনক অবস্থায় ঘোরাফেরা করতে দেখে হোটেলের কর্মীরা তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। রাতেই হোটেলের পিছনের ঝোপ থেকে একটি ছুরি হয় এবং জেরায় হাওড়ার বড়চুমুক গ্রামের বাসিন্দা প্রদীপ মণ্ডলকে খুন এবং একই জেলার শ্যামপুর থানার সাইদপুরের বাসিন্দা নবকুমার মাইতিকে খুনের চেষ্টা করার কথা স্বীকার করে রঞ্জন। গ্রেফতারের পর থেকে জেল হাজতে ছিল অভিযুক্ত। মোট ১৬ জনের সাক্ষ্য নিয়েছে আদালত। গত বছর ১১ ডিসেম্বর সাক্ষ্য দেন নবকুমার মাইতিও। |