এলাকায় একটাই উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল। কাঁকসা, গলসি, বাঁকুড়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের পড়ুয়াদের একমাত্র ভরসা সিলামপুর উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল। গত কয়েক বছরে বেড়েছে স্কুলের পড়ুয়া সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তৈরি হোক একটি পৃথক বালিকা বিদ্যালয়। তাহলে কমবে স্কুলের চাপ। উপকৃত হবে ছাত্রীরাও। বাসিন্দাদের দাবি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে যোগাযোগ করার আশ্বাস দিয়েছেন দুর্গাপুর (পূর্ব) কেন্দ্রের বিধায়ক তথা আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঁকসা ব্লকের দক্ষিণ দিকের সিলামপুর, কেটেন, আয়মাপাড়া, গাংবিল। গলসি ১ ব্লকের মনোরমপুর, ভরতপুর, সাঁকুড়ি। এমনকী দামোদরের ওপারে বাঁকুড়ার ছোট মানা, বড় মানা, লালবাবা মানা। এই বিস্তীর্ণ এলাকার পড়ুয়াদের জন্য একমাত্র ভরসা সিলামপুর উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলটি। ১৯৪৯ সালে তৈরি হয় এই স্কুল। বর্তমানে এই স্কুলে মোট পড়ুয়ার সংখ্যা ১২৫৬। এর মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা ৬০৩। এই ছাত্রীদের মধ্যে আবার ২৭২ জন তফসিলি জাতি, ১১৪ জন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। |
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে স্কুলে পূর্ণ সময়ের শিক্ষকের সংখ্যা ২৩ জন। শ্রেণিকক্ষ আছে ১৫টি। বর্তমান পরিকাঠামোয় এই বিপুল সংখ্যক পড়ুয়ার চাপ সামলাতে যে সমস্যা হচ্ছে, তা স্বীকার করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, নতুন একটি বালিকা বিদ্যালয় গড়তে পারলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে বর্তমান স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় অর্ধেক হয়ে যাবে। বাড়বে পড়ুয়া পিছু শিক্ষকের অনুপাত। তফসিলি জাতি ও সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই এলাকার ছাত্রীদের জন্য পড়াশোনার নতুন সুযোগ খুলে যাবে। তাঁদের তরফে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
সিলামপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সুকুমার পালের দাবি, পৃথক বালিকা বিদ্যালয় গড়ার জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা প্রয়োজনীয় জমি বহু দিন আগেই তুলে দিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষের হাতে। তিনি বলেন, “প্রায় ১০ বিঘা জমি পড়ে রয়েছে। সেই জমিতে বালিকা বিদ্যালয় গড়া যেতে পারে। আমাদের কোনও আপত্তি নেই।” তাঁর দাবি, বিষয়টি জানিয়ে ইতিমধ্যেই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ছাত্রীদের জন্য দশম শ্রেণি পর্যন্ত আলাদা স্কুল গড়লেই হবে। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে তারা ভর্তি হবে সিলামপুর হাইস্কুলে। |