শহরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা যে হারে বেড়ে চলেছে, তাতে আরও আগে থেকে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল বলে জানালেন স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন-এর ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান নিমাই ভট্টাচার্য। এ নিয়ে কিঞ্চিৎ আশঙ্কায় রয়েছেন তাঁরা। শনিবার ডেঙ্গি আক্রান্ত ওয়ার্ডগুলির একাংশ ঘুরে দেখেন কলকাতা থেকে আসা দুই সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল। নিমাইবাবুর সঙ্গে ছিলেন নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষক গৌতম ধর। ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রকাশনগর এলাকার বিভিন্ন বাড়িগুলি ঘুরে নমুনা সংগ্রহ করেন তাঁরা। নিমাইবাবু বলেন, “প্রাক বর্ষা থেকেই ডেঙ্গি মোকাবিলার ব্যবস্থা করার দরকার ছিল। একমাস ধরে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। সেই মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়াই হয়নি।”
বিশেষজ্ঞ দলের সঙ্গে এলাকায় গিয়েছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবও। এলাকায় থাকা খাটাল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মন্ত্রী। পুরসভা কোনও কাজ করছে না বলে এ দিনও সমালোচনা করেন তিনি। এমনকী তাদের আগাম জানানোর পরেও এ দিন এই এলাকায় পুরকর্মী এবং গাড়ি ঠিক মতো পাঠানো হয়নি বলে তাঁর অভিযোগ। মেয়র অবশ্য অভিযোগ করেন স্বাস্থ্য দফতর থেকে তাদের কর্মসূচি নিয়ে কিছু জানানো হয় না।
এ দিন সকাল থেকে মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত-সহ তাঁর পারিষদরা ডেঙ্গি সচেনতনতা প্রচারে ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে যান। তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন গৌতমবাবু। তাঁর কথায়, ৪২, ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। আসরফনগর এলাকায় পুরনো টায়ার মজুত রাখার গুদামগুলিতে যান। মেয়র বলেন, “সমস্ত টায়ারে জল জমে থাকলে সেখানেই মশা জন্মাচ্ছে। তাই সে সব না সরালে সব তুলে নেওয়া হবে বলে দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে গুদাম বন্ধ করে দেওয়া হবে।” সোমবার সমস্ত কাউন্সিলর, শিলিগুড়ি হাসপাতাল, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, নার্সিংহোমগুলির মালিকদের নিয়ে বৈঠক করবেন পুর কর্তৃপক্ষ। অন্য দিকে এদিন ডেঙ্গি আক্রান্তদের চিকিৎসা পরিষেবার খোঁজ নিতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “ডেঙ্গিতে আক্রান্তদের থেকে নার্সিংহোম গুলি রক্তপরীক্ষার জন্য প্রচুর টাকা নিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ডেঙ্গি আক্রান্তদের রক্ত পরীক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা সরকারকেই করতে হবে।” |