|
|
|
|
জেপিসি রিপোর্ট নিয়ে আপত্তি বাম-তৃণমূলের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
টুজি কাণ্ডে যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি)-র রিপোর্টে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ ও অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমকে ক্লিনচিট দেওয়ায় একসঙ্গে আপত্তি জানাতে চলেছেন তৃণমূল ও বাম সাংসদরা।
কাল জেপিসি-র বৈঠকে যে রিপোর্ট পাশ হয়েছে, তার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন তৃণমূল, সিপিএম ও সিপিআই-সাংসদরা। আজ সিপিআইয়ের গুরুদাস দাশগুপ্ত, সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি নিজেদের আপত্তির বিষয়গুলি জানিয়ে কমিটির চেয়ারম্যান পি সি চাকোর কাছে নোট পাঠিয়েছেন। সেই নোট প্রকাশ করেছেন তাঁরা। তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তিনিও ‘ডিসেন্ট নোট’ দিতে চলেছেন। জেপিসি-র এই রিপোর্টের সমালোচনা করেছে বিজেপিও। খসড়া রিপোর্ট নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি ছিল বিরোধী নেতাদের।
যুক্তি ছিল, প্রাক্তন টেলিকম মন্ত্রী এ রাজার ঘাড়ে সব দোষ চাপিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীকে নির্দোষ প্রমাণের চেষ্টা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী কোনও ভাবেই স্পেকট্রাম বণ্টন কেলেঙ্কারির দায় এড়াতে পারেন না। চিদম্বরমও চাইলে এই দুর্নীতি রুখতে পারতেন।
যেখানে সমাজবাদী পার্টি রিপোর্টের পক্ষে ভোট দিচ্ছে, সেখানে তৃণমূলের বিপক্ষে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্তকে আজ স্বাগত জানিয়েছেন গুরুদাস। তাঁর অভিযোগ, চাকো জেপিসি-র চেয়ারম্যান হিসেবে নিরপেক্ষ ভূমিকা না নিয়ে কংগ্রেসের মুখপাত্রের মতো আচরণ করেছেন। প্রথম থেকেই গোটা কেলেঙ্কারিটাকে ধামাচাপা দেওয়াটাই তাঁর উদ্দেশ্য ছিল। গুরুদাসের কটাক্ষ, এর পুরস্কার হিসেবে চাকোকে খুব শীঘ্রই মন্ত্রী পদ দেওয়া। তিনি বলেন, “কংগ্রেস এমন ভাবে জেপিসি-কে প্রহসনে পরিণত করল যে, ভবিষ্যতে বিরোধীরা আর কখনও সংসদীয় কমিটির দাবিই জানাতে পারবে না।” সংসদ কক্ষে এই নিয়ে লড়াই চালিয়ে আর বেশি লাভ হবে না বুঝে এখন গোটা বিষয়টি নিয়ে পুস্তিকা ছাপিয়ে প্রচারে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। |
|
|
|
|
|