ঝাড়খণ্ডের ৮টি জেলায় বিদ্যুৎ বণ্টনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন (ডিভিসি)। এই পরিষেবা দেওয়ার জন্য পরিকাঠামো গড়ে তুলতে ডিভিসি-র ৩ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। ওই টাকা বিশ্বব্যাঙ্কের কাছ থেকে ঋণ হিসেবে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সংস্থা কর্তৃপক্ষ।
ডিভিসি চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ সেন সম্প্রতি এ কথা জানিয়ে বলেন, “ঝাড়খণ্ড সরকারই চাইছে কয়েকটি জেলায় আমরা বিদ্যুৎ বণ্টন করি। আমাদেরও আগ্রহ ছিল। সব কিছু ঠিকঠাক চললে ২০১৪-র শেষের দিকে এই পরিষেবা শুরু হবে।”
ঝাড়খণ্ডের বোকারো, গিরিডি, ধানবাদ, হাজারিবাগ, পলামু, রামগড়-সহ মোট ৮টি জেলাকে বিদ্যুৎ বণ্টনের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। এখন ওই জেলাগুলিতে বিদ্যুৎ বণ্টনের দায়িত্ব রয়েছে ঝাড়খণ্ড রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ। কিন্তু পর্ষদের সেকেলে ও দুর্বল পরিকাঠামোর জন্য পরিষেবা নিয়ে নানা অভিযোগ রয়েছে। যে-কারণেই ডিভিসি-কে এই দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। রাঁচি শহরের মধ্যেও বিদ্যুৎ পরিষেবা উন্নত করতে সম্প্রতি সিইএসসি-কে নিয়োগ করেছে ঝাড়খণ্ড সরকার। সিদ্ধান্ত হয়েছে, ৮টি জেলায় বিদ্যুৎ বণ্টন প্রকল্পের জন্য বিশ্বব্যাঙ্ক একটি পরামর্শদাতা সংস্থাও নিয়োগ করবে। ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ওই সংস্থা বাছাইয়ের কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। পরামর্শদাতা সংস্থাটির রিপোর্ট জমা পড়ে গেলে এপ্রিল মাসের মধ্যেই বিশ্বব্যাঙ্কের কাছে ঋণের জন্য আবেদন করা হবে বলে চেয়ারম্যান জানিয়েছেন।
বিদ্যুৎ বণ্টন ছাড়াও সংস্থা ৪টি নয়া প্রকল্পের জন্য বিশ্বব্যাঙ্কের ঋণ নেবে। এর মধ্যে ঝাড়খণ্ডের বলপাহাড়িতে নয়া জলাধার প্রকল্প ছাড়া সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পও আছে। রবীন্দ্রনাথবাবু জানান, বিদ্যুৎ বণ্টন-সহ ওই প্রকল্পগুলির খরচা ধরে বিশ্বব্যাঙ্কের কাছ থেকে ৯ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। |