|
|
|
|
পুত্রবধূ-নাতিকে টেপে আশীর্বাদ
দিয়েছিলেন যুবরানি, দাবি পত্রিকার |
সংবাদ সংস্থা • লন্ডন |
ছোট্ট ছেলেগুলো হঠাৎই কী রকম যেন বড় হয়ে গেল। এক দিন বিয়ে করে বউ-ও আনবে ঘরে। কিন্তু সেই দিন হয়তো আর তিনি থাকবেন না। যুবরানি ডায়ানা তিনি। শত্রুর সংখ্যা তো তাঁর নেহাত কম নয়। থাকবেন না তো কী হয়েছে, মায়ের কল্পনা তো আর বাঁধ মানে না। ছেলে বড় হওয়ার পরও যাতে মায়ের স্পর্শ পায়, তাই আগেভাগেই কিছু কথা রেকর্ড করে গিয়েছিলেন ডায়ানা দাবি একটি মার্কিন পত্রিকার। যুবরানির খুব ঘনিষ্ঠ এক বন্ধুর থেকেই তারা এই খবর পেয়েছে বলে দাবি পত্রিকাটির।
১৯৯৭ সালের ৩১ অগস্ট। প্রেমিক ডোডি আল ফায়েদকে নিয়ে রিৎজ হোটেল থেকে বেরোনোর পরেই ডায়ানার পিছু ধাওয়া করেন ছবি-শিকারিরা। প্যারিসের একটি সুড়ঙ্গে গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ডায়ানা, ডোডি ও গাড়ির চালকের। তবে এটা নিছকই দুর্ঘটনা না কি বড়সড় চক্রান্ত, তা নিয়ে জল্পনা এখনও শেষ হয়নি।
মার্কিন পত্রিকাটি জানিয়েছে, এই ধরনের ভয়াবহ পরিণতির আশঙ্কা করেছিলেন ডায়ানা। অন্তত তেমনটাই দাবি ওই ঘনিষ্ঠ বন্ধুটির। তাই দেখে যেতে না পারা ছবিগুলোই মনের মতো করে সাজিয়ে গুছিয়ে টেপবন্দি করেছিলেন যুবরানি। তাঁর সুপুরুষ ছেলে যে নিজের জন্য উপযুক্ত স্ত্রী খুঁজে নেবে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহই ছিল না মায়ের মনে। বড় ছেলে উইলিয়ামের জীবনে এই বিশেষ ব্যক্তিটি যে সব দিক থেকে সত্যি সত্যিই ‘স্পেশ্যাল’ হবে, তা-ও নিশ্চিত জানতেন ডায়ানা। সুন্দর, ঝকঝকে ও স্বাধীনচেতা হবু পুত্রবধূর জন্য ভালবাসার ছোঁয়া রয়েছে টেপের পরতে পরতে। “সব চেয়ে আগে তুমি ওর বন্ধু হবে” মা-সুলভ পরামর্শও রয়েছে রেকর্ডটিতে। অদেখা পুত্রবধূর জন্য আশীর্বাদ রয়েছে, আর হবু নাতি-নাতনি বাদ পড়েছে, তা আবার হয় নাকি! “আমার জন্য ওকে তোমরা ভালবেসো আর বোলো আমার বুকভরা ভালবাসা রইল” রাজপরিবারের ছোট্ট অতিথির জন্যও এতটাই খেয়াল ছিল সে দিনের যুবরানির।
ঠাকুমা দেখে যেতে পারেননি। কিন্তু, বয়স বাড়ছে উইলিয়াম ও কেট মিডলটনের ছেলে জর্জেরও। সে এখন পাক্কা তিন মাস এক দিনের। সেন্ট জেমসে’স প্রাসাদের চ্যাপেল রয়্যালে ২৩ অক্টোবর নামকরণ হবে তার। যে চ্যাপেলে মৃত্যুর পরে রাখা ছিল যুবরানির কফিন। অলক্ষে হয়তো হাজির থাকবেন ঠাকুমাও। আশীর্বাদ দেবেন ছোট্ট জর্জকে। |
|
|
|
|
|