ওষুধের দাম দেশবাসীর সাধ্যের মধ্যে রাখতে নয়া নীতি তৈরি করতে চায় যোজনা কমিশন। সেই লক্ষ্যে আগামী মাসে ওসুধ সংস্থা-সহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা শুরু করবে তারা। বুধবার আইসিআরআইইআর, ফিকি, এবং কেএএস-এর যৌথ সভার ফাঁকে যোজনা কমিশনের সদস্য অরুণ ময়রা জানান, ২০১৪-র মধ্যে ওই ওষুধ নীতি তৈরির পরিকল্পনা তাদের। তবে সরকারি ভাবে কোনও নীতি চাপিয়ে দেওয়া নয়, তাঁরা নীতি তৈরি করতে চান সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতেই। তিনি বলেন, “ভারতের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ‘স্বাস্থ্য’ আরও ভাল হওয়া দরকার। এ জন্য পারস্পরিক সহযোগিতা জরুরি।” সঠিক নীতি না-থাকার জন্যই ভারতে ওষুধের দাম ও গুণমান নিয়ন্ত্রণের অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ। ময়রা বলেন, “এই নীতি তৈরির মূল লক্ষ্যই হল দেশের প্রতিটি নাগরিকের সাধ্যের মধ্যে ওষুধ পৌঁছে দেওয়া। বস্তুত, দেশের উন্নয়নের জন্য পারস্পরিক সহযোগিতার উপরেই এ দিন জোর দেন যোজনা কমিশনের এই সদস্য। তাঁর মতে, সেই সূত্রে কমিশনের ভূমিকাও বদলানো উচিত। যেমন সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ বা রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে নীতি নির্ধারণ করতে হবে কমিশনকে। এ ক্ষেত্রে রাজ্যগুলির ভূমিকাও এখন আগের চেয়ে বেড়েছে বলে মত তাঁর। পাশাপাশি, শুধু নিয়ম-নীতি তৈরিই নয়, বরং উন্নয়নের সুফল পেতে হলে সেগুলির দ্রুত রূপায়ণ জরুরি বলেও জানান তিনি।
|
সরকারের তরফে বিশেষ আর্থিক সুযোগ-সবিধা দেওয়া হচ্ছে। তবু আদিবাসী এলাকায় কাজ করার জন্য চিকিৎসকদের রাজি করানো যাচ্ছে না। ফলে সেখানকার মানুষের একটা বড় অংশের কাছেই চিকিৎসা পরিষেবা অধরা থেকে যাচ্ছে। বুধবার কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের ডেপুটি কমিশনার শীলা দেব বলেন, “পশ্চিমবঙ্গও এর ব্যতিক্রম নয়।” এর জন্য ওই সব এলাকায় চিকিৎসা পরিকাঠামোর অভাবকেই মূলত দায়ী করেছেন শীলাদেবী। তিনি বলেন, “আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ আধুনিক চিকিৎসা সম্পর্কে এখনও ওয়াকিবহাল নন। তাঁদের মধ্যে সংক্রমণ বাড়ছে। বাড়ছে শিশুমৃত্যুও। চিকিৎসার অভাবেই পরিস্থিতি ক্রমশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।” ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)-এর সম্পাদক শান্তনু সেন জানান, পুরুলিয়া, মেদিনীপুর, বাঁকুড়ার মতো এলাকায় পরিকাঠামো এতটাই খারাপ যে, চিকিৎসকেরা নানান সমস্যায় পড়েন। সেখানে তথ্যপ্রযুক্তির তেমন চল নেই। চিকিৎসকদের থাকার যথাযথ জায়গা নেই। ওষুধপত্র মেলে না। কোনও কোনও অঞ্চলে দু’-এক জন চিকিৎসক থাকায় তাঁরা ছুটি পান না। তাই চিকিৎসকেরা আদিবাসী এলাকাগুলিকে এড়িয়ে যান।
|
রোগীর মৃত্যু কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় ইসলামপুরে। মঙ্গলবার রাতে ইসলামপুরের মহকুমা হাসপাতালে ঘটনাটি ঘটেছে। মৃতার নাম জুবলি খাতুন (৩২)। বাড়ি ইসলামপুর শহরের মেলার মাঠ এলাকায়। মৃতার আত্মীয়দের অভিযোগ, রাতে হঠাৎ জুবলি দেবীর মাথা ব্যথা ছাড়াও বুকে ব্যথা শুরু হয়। তাঁকে ইসলামপুরের এক চিকিৎসকের কাছে ও পরে ইসলামপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ভর্তির কিছু পরে তিনি মারা যায়। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে বাড়ির লোক চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। হাসপাতালের একটি জানলার কাচও ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মৃতার আত্মীয় মহম্মদ ইকবার জানান, হাসপাতালে ভর্তি করার পর ঠিকমত চিকিৎসাই করা হয়নি। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে আলোচনা করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। হাসপাতালে যান ইসলামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান কানাইয়ালাল অগ্রবাল। তিনিও পরিবারটির সঙ্গে কথা বলেন। হাসপাতালের সুপার সুখেন্দু বিশ্বাস জানান, ওই রোগীকে খুবই জটিল পরিস্থিতিতে ভর্তি করানো হয়েছিল। ওই মহিলার মাথায় রক্তক্ষরণে ঘটনাটি ঘটেছে বলে মনে হয়েছে। ওষুধ, স্যালাইন ঠিকমত দেওয়া যায়নি। তার আগেই উনি মারা যান। তবে গাফিলতির অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন। পুলিশ তদন্ত করছে। তবে হাসপাতালে তরফে কোনও অভিযোগ করা হয়নি।
|
ডায়েরিয়ায় এক বৃদ্ধার মৃত্যুর পরেও বিষ্ণুপুর থানার আগুনকুমারী গ্রামে আক্রান্তের সংখ্যা কমছে না। মঙ্গলবার আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪০। যাঁদের মধ্যে প্রথমে ১৩ জনকে, পরে আরও এক জনকে ভর্তি করা হয়েছিল বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে। বুধবার ওই গ্রামে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫৪। তাঁদের মধ্যে তিন মহিলা-সহ পাঁচ জনকে এ দিন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বিষ্ণুপুর হাসপাতালের সহকারী সুপার নিবেদিতা মিশ্র বলেন, “এ দিন নতুন করে ৫ জন ভর্তি হয়েছেন। ওই গ্রামের মোট ১৯ জন ডায়েরিয়া আক্রান্ত রোগী এখন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সকলের চিকিৎসা চলছে। প্রত্যেকেই ভাল আছেন।” বিষ্ণুপুরের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক কুমারেশ ঘোষ বলেন, “ওই গ্রামে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা রয়েছেন। আক্রান্তদের বাড়িতে গিয়ে ওষুধপত্র দেওয়া হচ্ছে। এলাকায় ছড়ানো হচ্ছে ব্লিচিং পাউডার। ডায়েরিয়ার উৎস জানার জন্য সব ধরনের চেষ্টা চলছে।” আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও ভয়ের কোনও কারণ নেই বলেও তিনি জানান।
|
স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং এক সচেতনতা শিবির অনুষ্ঠিত হল কেশপুরের কৃষ্ণপাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। দু’দিনের এই শিবির বুধবারই শেষ হয়। বিদ্যালয়ের প্রায় দু’শো জন শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। পাশাপাশি, ‘সুষম পুষ্টি ও শিশুর বিকাশ’ নিয়ে এক সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হয়।
|
২৪ ঘণ্টার প্যাথলজি বিভাগ চালু হল এম আর বাঙুর হাসপাতালে। বুধবার সরকারি ও বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে তৈরি এই বিভাগের উদ্বোধন করলেন রাজ্যের আবাসন ও যুবকল্যাণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তাতে ইসিজি, ইউএসজি, ইকোকার্ডিওগ্রামও হবে। সেই সঙ্গে চালু হল ২১টি ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটও। রাজ্যের কোনও জেলা হাসপাতালে এ ধরনের ব্যবস্থা এই প্রথম বলে দাবি মন্ত্রীর। |