উদ্ধার ৩ নাবালিকা
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
উদ্ধার করা হল বাংলাদেশের তিন নাবালিকাকে। মঙ্গলবার, বাগুইআটি ও বসিরহাট থেকে। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ দমন) পল্লবকান্তি ঘোষ বুধবার জানান, বড়তলা থানা এলাকা থেকে বাংলাদেশের এক নাবালিকাকে গত ৬ সেপ্টেম্বর উদ্ধার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বাগুইআটির জ্যাংড়া ও বসিরহাটে বাংলাদেশের আরও তিন নাবালিকাকে আটকে রাখা আছে। বাগুইআটি থেকে উদ্ধার হওয়া এক নাবালিকাকে পাচারের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় হাতিয়াড়ার সুমিত সেন নামে এক যুবককে। এর পরে, ওই দিনই বসিরহাটে একটি বাড়িতে হানা দিয়ে আরও দুই নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়। তাদের পাচারের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার হয় পাপিয়া রক্ষিত নামে এক মহিলা। আদালত ধৃতদের ৭ অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
|
মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভাল ফল করায় উপহার হিসেবে মিলেছে ট্যাবলেট কম্পিউটার। তা নিয়েই বন্ধুদের সঙ্গে খুশির মেজাজে উত্তর ২৪ পরগনার নাসিমা খাতুন। প্রতিবন্ধী এই ছাত্রী মুখ দিয়ে লিখেছে পরীক্ষায়। বুধবার রবীন্দ্র সদনে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রতিবন্ধী সম্মিলনী আয়োজিত এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লোকসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় এবং রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অশোককুমার গঙ্গোপাধ্যায়। মেধাবী প্রতিবন্ধী পড়ুয়াদের উদ্দেশে কান্তিবাবু বলেন, “ওরা প্রতিবন্ধী নয়। ওরা প্রতিস্পর্ধী। এদের জয় স্পর্ধার জয়।”
|
পঞ্চায়েতে জনমত মেনে বোর্ড গড়তে বলল কোর্ট |
ভোটে জনগণ যে-রায় দিয়েছে, পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনে তা প্রতিফলিত হচ্ছে না। এটা গণতন্ত্রের পক্ষে মোটেই শুভ নয় বলে ফের মন্তব্য করলেন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। বুধবার সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি বলেন, “গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যাঁরা জিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েছেন, তাঁরাই বোর্ড গড়বেন। এটাই গণতন্ত্রের রীতি। আর সেই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বজায় রাখা সরকারের কাজ। আমি অনুরোধ করব, সরকার যেন মানুষের রায়ের পক্ষেই সিদ্ধান্ত নেয়। সব ব্যাপারে বিচার বিভাগকে হস্তক্ষেপ করতে হবে, এটা ঠিক নয়।” পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকে বিভিন্ন জেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। কোথাও নির্বাচিত সদস্যকে অপহরণ, কোথাও আক্রমণ, কোথাও মিথ্যে মামলায় জেলে ঢোকানোর বহু অভিযোগ জমা পড়েছে হাইকোর্টে। এর মধ্যে সব থেকে উল্লেখযোগ্য ঘটনাটি ঘটেছে ইসলামপুর ব্লকের সুজালি গ্রাম পঞ্চায়েতে। আইনজীবী সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানান, সুজালি গ্রাম পঞ্চায়েতে ১২ জন সিপিএম, পাঁচ জন তৃণমূল এবং এক জন কংগ্রেস প্রার্থী জিতেছেন। অথচ ওই ১২ জন সিপিএম সদস্য ছাড়াই তৃণমূল ও কংগ্রেসের ছ’জন সদস্য বোর্ড গড়ে তাঁদের মধ্য থেকেই প্রধান ও উপপ্রধান নির্বাচিত করে ফেলেছেন! বিচারপতি এ দিন জানতে চান, রাজ্য সরকার ওই বোর্ড ভেঙে দেবে না কেন? তাঁর বক্তব্য, সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিনিধিরা বোর্ড গড়বেন, এই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সুনিশ্চত করতে হবে সরকারকেই। আজ, বৃহস্পতিবার এই ধরনের সব মামলার শুনানি। |