দ্বিতীয় বারের জন্য স্থগিত হয়ে গেল সজল ঘোষ হত্যা মামলার শুনানি। এর আগে ১৩ সেপ্টেম্বর নবদ্বীপের অতিরিক্ত জেলা জজ এবং সেশন জজের আদালতে এই মামলায় স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করেছিলেন মামলার অন্যতম অভিযুক্ত প্রদীপ সাহার আইনজীবীরা। বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করে ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন। বুধবার সেই শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুপুর ২টো নাগাদ মামলাটি শুরু হতেই প্রদীপ সাহার আইনজীবী প্রতীম সিংহ রায় আদালতে জানান, তাঁরা মামলাটি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেছেন। হাইকোর্টের নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত আদালতে মামলাটি স্থগিত রাখা হোক। প্রতীমবাবু বলেন, “নবদ্বীপ আদালতে আমরা সজল ঘোষের দেহের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ও খুনের রাতে নবদ্বীপ হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকের এজাহার নিতে চেয়ে আবেদন করেছিলাম। কিন্তু আদালত তা খারিজ করে। একই আবেদন উচ্চতর আদালতে করেছি। উচ্চতর আদালতের নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত মামলাটি স্থগিত রাখতে চেয়ে এ দিন ফের আবেদন করা হয়েছে।” নদিয়ার অতিরিক্ত সরকারি কৌসুলী বিকাশকুমার মুখোপাধ্যায় জানান, ১৯ নভেম্বর থেকে আবার মামলাটির শুনানি শুরু হবে।
|
লালবাগের আদালতে ডিভোর্সের মামলা চলছিল। দু’জনের সম্মতিতে ডিভোর্স হয়ে যাওয়ার পরে বুধবার বিয়েতে বরপণ হিসেবে নেওয়া গয়না ও নগদ টাকা ফেরত দিতে এসে আদালত চত্বরে ভোজালি নিয়ে স্ত্রী সাহিনা বিবির উপর হামলা চালায় স্বামী হুমায়ুন শেখ। ভোজালির কোপ লাগে সাহিনা বিবির পায়ে। ঘটনার পরপরই এলাকার লোকজন হুমায়ুনকে ধরে মারধর শুরু করে। পরে পুলিশ গিয়ে ওই যুবককে গ্রেফতার করে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য লালবাগ হাসপাতালে নিয়ে যায়। জখম সাহিনা বিবিকেও একই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “এ দিন ডিভোর্সের পরে বরপণ দেওয়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে গণ্ডগোল বাধে। তখনই ওই যুবক স্ত্রী’র উপরে হামলা চালায়। পুলিশ ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।” বছর দুয়েক আগে মুর্শিদাবাদ থানার রণসাগরের বাসিন্দা হুমায়ুনের সঙ্গে ইসলামপুরের সাহিনা বিবির বিয়ে হয়। সাহিনা বিবির কথায়, “আমার স্বামী বিভিন্ন অসামাজিক কাজ করে। বিয়েতে নেওয়া সোনার গয়না ও নগদ টাকা ফেরৎ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা দিতে পারবে না বলেই আমাকে খুনের চেষ্টা করল।”
|
ইটের ঘায়ে মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার। নাম কৃষ্ণা সরকার (৩২)। বাড়ি বহরমপুর পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের সৈয়দাবাদ কুঞ্জঘাটা কুমার দূর্গানাথ লেনে। পারিবারিক কারণে বুধবার দুপুরে ভাসুর বিশ্বনাথ সরকারের সঙ্গে কৃষ্ণাদেবীর বিবাদ বাধে। সেই সময়ে ভাইপো বিপ্লব সরকার আচমকা ইট দিয়ে কাকিমার মাথায় আঘাত করে। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই মহিলা। তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে জানান। বহরমপুরের আইসি মোহায়মেনুল হক বলেন, “বাবা ও ছেলের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।” যদিও এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। অভিযুক্তরা বেপাত্তা। এলাকার কাউন্সিলর হিরু হালদার বলেন, “ওই মহিলার স্বামী পেশায় গৃহশিক্ষক। ঘটনার সময়ে তিনি বাইরে ছিলেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। স্থানীয় লোকজনের সাহায্যে ওই মহিলাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। তার আগেই অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।”
|
প্রথম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বাড়িতে ডেকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল কাকার বিরুদ্ধে। সোমবার দুপুরে হোগলবেড়িয়ার সুন্দলপুরের ঘটনা। যদিও বুধবার অভিযুক্ত রাজিবুল খানের বিরুদ্ধে শিশুটির পরিবার পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছে। পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে। |