বিল বকেয়া, শরৎ সদনে বিদ্যুৎ কাটল সিইএসসি
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
প্রায় ৮২ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় হাওড়ার শরৎ সদনের বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দিল সিইএসসি। সিইএসসির অভিযোগ, গত আড়াই বছর ধরে বিদ্যুৎ বিল বাবদ একটি টাকাও দেয়নি হাওড়া পুরসভা। এমনকী, ১৫ দিন আগে তাদের নোটিস পাঠিয়েও জবাব মেলেনি। তাই এই সিদ্ধান্ত।
যদিও হাওড়ার মেয়র মমতা জায়সবালের অভিযোগ, সিইএসসি তাঁদের কোনও নোটিস না দিয়েই শরৎ সদনের বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দিয়েছে। তাঁর দাবি, শরৎ সদন হাওড়া পুরসভার হলেও বরাবরই বিদ্যুতের বিলের টাকা দেয় রাজ্য সরকার। আগের বামফ্রন্ট সরকারও তাই দিত। কিন্তু রাজ্যে তৃণমূল সরকার আসার পরে গত আড়াই বছর ধরে বিদ্যুৎ বিলের টাকা না দেওয়ায় এত পরিমাণ টাকা বকেয়া থেকে গিয়েছে। |
মেয়রের অভিযোগকে সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, “শরৎ সদন হাওড়া পুরসভার। ওই হল ভাড়া দিয়ে পুরসভা আয় করে। তাই বিদ্যুতের বিল তাদেরই দিতে হবে। এই দায় রাজ্যের নয়।”
হাওড়া পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার শেষরাতে শরৎ সদনের বাইরে থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেয় সিইএসসি। বুধবার সংস্থার এক মুখপাত্র বলেন, “আমরা দিন পনেরো আগেই মেয়র ও কমিশনারকে নোটিস পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু ওঁরা গ্রাহ্য করেননি। উত্তরও দেননি।”
সিইএসসি সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দশেক আগেও এক বার এ ভাবে শরৎ সদনের বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হয়েছিল। পুরসভা তখন ১ কোটি টাকা মিটিয়ে দেওয়ায় ফের সংযোগ দিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এ বার বকেয়া ৮২ কোটি টাকা পরিশোধের জন্য নোটিস পাঠানোর পরে পুর-কর্তৃপক্ষ কোনও উত্তর দেননি বলে সিইএসসি-র দাবি। তাই শেষ পর্যন্ত শরৎ সদনের বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া।
পুরসভা সূত্রে খবর, আচমকা বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়ায় আপাতত জেনারেটর চালিয়ে নানা অনুষ্ঠানের কাজ চালানো হচ্ছে। তবে কত দিন এ ভাবে চালানো যাবে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত কিছু বলতে পারেননি পুরকর্তারা। এ ব্যাপারে বুধবার মেয়র বলেন, “শরৎ সদন হাওড়ার অন্যতম সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। আমরা ভেবেছিলাম সংস্কৃতির স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রী হলটি যাতে বন্ধ না হয়, তা দেখবেন। কিন্তু উনি দেখলেন না।”
এ ব্যাপারে পুরমন্ত্রীর বক্তব্য, “মেয়র আবেদনপত্র নিয়ে দেখা করুন। তার পরে আমরা ভেবে দেখব, কী করা যায়।” |