ভোটে জিতেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব পিছন ছাড়ছে না তৃণমূলের।
মঙ্গলবার হাওড়ার ডোমজুড় পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠন করা হয়। দলীয় ঐকমত্যে পৌঁছতে পারেননি তৃণমূলের নেতারা। ফলে এই পঞ্চায়েত সমিতিতে একচ্ছত্র আধিপত্য সত্ত্বেও স্থায়ী সমিতি গঠনের ক্ষেত্রে ভোটাভুটির আশ্রয় নিতে হয়। সভাপতি পদের জন্যও ভোটাভুটি করতে হয়েছিল এখানে।
পঞ্চায়েত সমিতিটিতে মোট ৯টি স্থায়ী সমিতি গঠন হওয়ার কথা। প্রতিটি স্থায়ী সমিতিতে পদাধিকার বলে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সহকারী সভাপতি এবং বিরোধী দলনেতা থাকেন। বাকি সদস্যদের বেছে নেওয়া হয় নির্বাচিত সদস্যদের মধ্যে থেকে। এ দিন ঠিক হয়, প্রথমে জনস্বাস্থ্য ও শিক্ষা সংক্রান্ত স্থায়ী সমিতি গঠন করা হবে। এই সমিতিতে পঞ্চায়েত সমিতির পাঁচ জন সদস্যকে বেছে নেওয়ার কথা। কিন্তু কোন পাঁচ জন সদস্যকে বেছে নেওয়া হবে, তা নিয়ে গোল বাধে তৃণমূল নেতৃত্বের মধ্যে। ব্লক তৃণমূল সূত্রের খবর, যে দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে মতবিরোধ হয়, তার একটির নেতৃত্বে রয়েছেন ডোমজুড়ের বিধায়ক তথা রাজ্যের সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামীরা। অন্য পক্ষে ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং সহকারী সভাপতি। শেষ পর্যন্ত পাঁচ জন সদস্য নির্বাচনের জন্য উভয় পক্ষের দু’টি পৃথক প্যানেল জমা পড়ে। ৫৮ জন ভোটাভুটিতে যোগ দেন। ৩০টি ভোট পেয়ে জিতে যায় সভাপতি এবং সহকারী সভাপতির প্যানেল। বাকি ৮টি স্থায়ী সমিতি নির্বাচনে অবশ্য আর ভোটাভুটি হয়নি।
সহকারী সভাপতি বাবলু মণ্ডল বলেন, “সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করে এক তরফা স্থায়ী সমিতিগুলির সদস্য বেছে নিয়েছিলেন। কিন্তু আমরা তা মানতে রাজি হইনি। সকলের সঙ্গে আলোচনা করে সর্বসম্মত ভাবে স্থায়ী সমিতির সদস্য বেছে নেওয়ার পক্ষপাতী ছিলাম আমরা।”
তাঁর আরও দাবি, “একটি স্থায়ী সমিতির নির্বাচনে পরাস্ত হয়ে বাকি সমিতিগুলির জন্য আর আলাদা প্যানেল দেননি মন্ত্রীর অনুগামীরা। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আমাদের বেছে নেওয়া পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যেরাই স্থায়ী সমিতির সদস্য হয়েছেন।” অন্য দিকে সেচমন্ত্রী বলেন, “ভোটাভুটিতে আমার কোনও কোনও ভূমিকা ছিল না। এটা না হলেই ভাল হত। পরের স্থায়ী সমিতিগুলি আলোচনার মাধ্যমেই গঠিত হয়েছে।”
|