দেবদূত ঘোষঠাকুরের প্রতিবেদন ‘পরিবেশ কি এতটাই হেলেফেলার’ (২৯-৮) ও সেই প্রতিবেদনের প্রসঙ্গে জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের প্রত্যুত্তর পরিবেশ নিয়ে লেখাপড়া: ধারণা ও সত্য (৯-৯)-এর প্রেক্ষিতে কিছু তথ্য সকলের অবগত হওয়া উচিত। শ্রীঘোষঠাকুরের প্রতিবেদনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রেসিডেন্সি কলেজে এনভায়রনমেন্টাল সিস্টেম ম্যানেজমেন্ট পাঠ্যক্রমের কথা উল্লেখ করেছেন। কিন্তু প্রেসিডেন্সি কলেজে এই বিষয়ে পঠন-পাঠন শুরু হওয়ার আগে ২০০২ সাল থেকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন আশুতোষ কলেজে পরিবেশ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রম শুরু হয় যা সম্পূর্ণ রূপে মাল্টিডিসিপ্লিনারি চরিত্রের। প্রসঙ্গত, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন আশুতোষ কলেজই একমাত্র প্রতিষ্ঠান যেখানে পরিবেশ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রম পড়ানো হয়। এই কলেজের ছাত্রছাত্রীরা বিদেশে এবং দেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণারত ও বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। ২০১১ সাল থেকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন পরিবেশ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকোত্তর স্তরে সাম্মানিক পাঠ্যক্রম শুরু হয়েছে। বর্তমানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মিলিয়ে প্রায় দুশো জন ছাত্রছাত্রী এখানে পাঠরত। |
আশুতোষ কলেজ ছাড়াও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন অন্যান্য কলেজ, পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, ইনস্টিটিউট অফ ওয়েটল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ও কলকাতার অন্যান্য বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানের অধ্যপিকা অধ্যাপক ও বিজ্ঞানীরা কলেজের ছাত্রছাত্রীদের এনভায়রনমেন্টাল কেমিস্ট্রি, বায়োকেমিস্ট্রি, মাইক্রোবায়োলজি, বায়োটেকনোলজি ও ইকনমিক্স ইত্যাদি বিষয়ে নিয়মিত থিওরেটিক্যাল ও প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাস নিয়ে থাকেন। স্নাতক স্তরে ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ও গবেষণা সংস্থায় প্রজেক্ট করে যা তাদের ভবিষ্যৎ জীবিকা অর্জন ও গবেষণায় সহায়তা করে। বর্তমানে এই বিভাগ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন স্বীকৃত ‘হসপিটাল ওয়েস্ট ডিসপোজাল ম্যানেজমেন্ট’-এ সার্টিফিকেট পাঠ্যক্রম শুরু করতে চলেছে। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে আশুতোষ কলেজে চলা এই অবিরাম কর্মযজ্ঞ শ্রীঘোষঠাকুর মহাশয়ের লেখাতে সম্পূর্ণ উপেক্ষিত।
ড. অনসূয়া চট্টোপাধ্যায়। অধ্যাপিকা রসায়ন বিভাগ, প্রধান পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক-অধ্যাপিকা ও শিক্ষাকর্মিবৃন্দ
|
পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যালয়ে পঠনপাঠনের বিষয় হিসাবে পরিবেশ বিদ্যা চালু প্রায় এক যুগ ধরে। কিন্তু কোনও বিদ্যালয়েই পরিবেশ বিদ্যা পড়ানোর জন্য শিক্ষক নেই। দীর্ঘ দিন ধরে লক্ষ করছি, কোথাও কোনও যোগ্য শিক্ষক নেই। কোনও বিদ্যালয়ে জীবনবিজ্ঞান, ইতিহাস, ভূগোল, কর্মশিক্ষা, শারীরশিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক দিয়ে পাঠদান করানো হয়। পরীক্ষা দিতে হয় তাই ছাত্রছাত্রীরা তা দেয়। গড়ে নম্বর দেওয়া হয়।
দীর্ঘ দিন এস এস সি (স্কুল সার্ভিস কমিশন) শিক্ষক নিয়োগ করে না। অথচ যোগ্য ছেলেমেয়েরা পাশ করে বসে রয়েছেন। এস এস সি গয়ংগচ্ছ করছে। পদ সৃষ্টিও তারা করছে না। অথচ পরিবেশ বিদ্যা বা বিজ্ঞান নিয়ে কত রকম বড় বড় কথা বলছে কাগজের পাতায়।
সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে। মান্য করার দায় কার?
সবুজবরণ সরকার। নলহাটি, বীরভূম
|
হাওড়া স্টেশন থেকে কলকাতামুখী বাস ধরার জন্য প্রতি দিনই এক নরককুণ্ডের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। বাসস্ট্যান্ড প্রায় বারো মাসই জল-কাদায় প্যাচ প্যাচ করে। তার উপর এক শ্রেণির যাত্রীর যত্রতত্র প্রস্রাবের ফলে নরকদশা আরও চরমে। নিরুপায় নিত্যযাত্রীদের প্রতি দিন এই নরকের মধ্য দিয়ে হেঁটেই বাস ধরতে হয়।
বর্তমান রাজ্য সরকার যখন শহর সুন্দর করতে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে রাস্তায় ত্রিফলা বাতি লাগাচ্ছে, তখন হাওড়া বাসস্ট্যান্ডে দীর্ঘ দিনের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সম্পর্কে এত উদাসীন কেন সরকার? হাওড়া বাসস্ট্যান্ড আধুনিক হোক।
অতীশচন্দ্র ভাওয়াল। কোন্নগর, হুগলি |