প্রেম, দুঃখ, আলস্য, রোমাঞ্চ, পাগলামো... জীবনের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলোয় চাঁদকে মনে পড়ে না এমন লোক খুব কমই রয়েছে। অথচ চাঁদের সেই চরকা কাটা বুড়ির বয়সটা ঠিক কত, হাজার খুঁজলেও তা কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। বিজ্ঞানীরাও কী ভাবে চাঁদ তৈরি হল তা জানতেই বেশি আগ্রহী।
ওয়াশিংটনের কার্নেগি ইনস্টিটিউশনের ভূ-রসায়নবিদ্ রিচার্ড কার্লসন অবশ্য অন্য সব বিজ্ঞানীর থেকে কিছুটা ব্যতিক্রমী। চাঁদের বয়স জানতেই তাঁর যত আগ্রহ। সত্তরের দশকে অ্যাপোলো অভিযানে চাঁদ থেকে যে সব নমুনা মাটি আর পাথর আনা হয়েছিল তা পরীক্ষা করেছেন রিচার্ড। এর জন্য বিশেষ তেজস্ক্রিয় ডেটিং ব্যবহার করেছেন তিনি। আর সেই নমুনা পরীক্ষা করেই রিচার্ড জানিয়েছেন, আজ থেকে প্রায় ৪৪৫-৪৪০ কোটি বছর আগে জন্ম হয়েছে চাঁদের। অর্থাৎ এত দিন যা ধারণা ছিল তার থেকে প্রায় ১০ কোটি বছর বয়স কমে গেল পৃথিবীর এক মাত্র উপগ্রহটির। এ সপ্তাহেই লন্ডনের রয়্যাল সোসাইটিতে তাঁর গবেষণাপত্র পেশ করেছেন রিচার্ড। তাঁর কথায়, “সৌর জগতের বয়স কত সেটা আমরা সবাই জানি। কোনও শক্তিশালী মহাজাগতিক বস্তুর ধাক্কায় পৃথিবী থেকে একটা বড় অংশ বেরিয়ে গিয়ে যে চাঁদ তৈরি হয়েছে সেটা বেশির ভাগ বিজ্ঞানীই বিশ্বাস করেন। কিন্তু চাঁদের বয়সটা কত তা জানতে তেমন কেউ আগ্রহী নয়।” আগে যে সব গবেষণা হয়েছে তাতে হিসেবে অনেক ভুল ছিল বলে দাবি রিচার্ডের। তাঁর মতে, আধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্যেই চাঁদের এত নিখুঁত বয়স জানা সম্ভব হল।
তবে এ বার থেকে সাবধান।
বয়স এক লাফে ১০ কোটি বছর কমে যাওয়ায় বুড়ির বদলে তাকে কেউ যদি এ বার তরুণী বলে সম্বোধন করেন, খুব একটা বোধ হয় ভুল হবে না।
|
মঙ্গলময় হোক যাত্রা। বৃহস্পতিবার মহাকাশচারীদের নিয়ে রওনা দেবে এই সয়ুজ রকেট।
তাঁর আগে প্রার্থনা। নাসার বৈকানুর কেন্দ্রে। ছবি: এপি। |