|
|
|
|
ধর্ষণ, খুনের চেষ্টায় ধৃত ২
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
নাবালিকা শ্যালিকাকে অপহরণ, ধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন জামাইবাবু ও তার শাকরেদ। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির বাগডোগরায়। ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। মেয়েটির দিদি বাগডোগরা থানায় তাঁর বোনকে ধর্ষণ ও খুনের চেষ্টা করেছে তাঁর স্বামী, এই বলে একটি অভিযোগ করেন। তারই ভিত্তিতে শনিবার বাগডোগরা থানার পুলিশ পুরোনো এয়ারপোর্ট মোড় থেকে মূল অভিযুক্ত মহম্মদ রাজু এবং রবিবার সকালে তাঁর সহযোগী মহম্মদ খলিলকে ধরে। মেয়েটির বয়স ১২ বছর। সে স্থানীয় স্কুলের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। ধৃতদের রবিবার শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হলে তাঁদের জামিন নামঞ্জুর হয়ে গিয়েছে। ১৪ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
২৮ অগস্ট থেকে নিখোঁজ ছিল বাগডোগরার বাসিন্দা এই কিশোরী। তাঁর সঙ্গে পাওয়া যাচ্ছিল না তাঁর জামাইবাবু মহম্মদ রাজুকেও। পুলিশ তদন্ত করলেও তাঁদের হদিস পায়নি। শুক্রবার সন্ধ্যায় বাগডোগরা বাগানের কাছে ঝোপের মধ্যে কিশোরীকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় লোক। তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে। তাঁর তলপেটে ধারালো ছুরি জাতীয় কিছুর আঘাতের চিহ্ন ছিল। মেয়েটি পুলিশকে জানিয়েছে, তাঁর জামাইবাবু তাঁকে ধর্ষণ করে তাঁকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। সেই কারণে তাঁকে ছুরিও মারে। জামাইবাবু রাজুকে সাহায্য করে খলিল। সে মারা গিয়েছে মনে করে তাঁকে ফেলে দিয়ে যায় তারা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জামাইবাবুর সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২৮ অগস্ট হঠাৎ দু’জন একসঙ্গে নিখোঁজ হয়। তাঁরা পুরোনো এয়ারপোর্ট মোড় এলাকায় একটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকত। সেখানে কিশোরীটির ইচ্ছের বিরুদ্ধে ধর্ষণ করা হয়। তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা কেন করা হল তা জানতে কিশোরী সুস্থ হল তাঁকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ। |
|
|
|
|
|