হারুণ লর্গ্যাটকে সিইও করার মাশুল গুণতে হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডকে (সিএসএ)। যার জেরে শ্রীনিবাসনের বিরোধী শিবিরের মতো তারাও তাকিয়ে ভারতীয় বোর্ডের নির্বাচনের দিকে। বা আরও ভাল করে বললে, শ্রীনিবাসনের সম্ভাব্য অপসারণের দিকে। সিএসএ কর্তাদের আশা, নির্বাচনে শ্রীনি হারলে তাঁদের বোর্ডের বড় আর্থিক ক্ষতিও আটকানো যেতে পারে।
সিএসএ-র অন্তর্বর্তিকালীন প্রধান জাক ফল জানিয়েছেন, নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসন নাকি তাঁদের কার্যত হুমকিই দেন যে, লর্গ্যাটকে সিইও করলে ভারতের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে। পাশাপাশি বড় আর্থিক ক্ষতির মুখেও পড়তে হতে পারে সিএসএ-কে। জাক আরও বলেছেন, ২০১২ ডিসেম্বরে মালয়েশিয়ায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টির একটি বৈঠকে শ্রীনিবাসন এই হুমকি দেন।
লর্গ্যাটকে সিইও করার জন্য এখন যা পরিস্থিতি, তাতে ভারতের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে কাটছাঁট হলে প্রায় দুশো মিলিয়ন র্যান্ডের ক্ষতি হতে পারে সিএসএ-র। আর সফর যদি একেবারেই বাতিল হয়ে যায়, তা হলে সেই ক্ষতির জের বহু বছর সামলাতে হবে তাদের। ২৯ সেপ্টেম্বর ভারতীয় বোর্ডের নির্বাচনের পরে শ্রীনিবাসন পুনর্নির্বাচিত হন কি না দেখে নিয়েই সিএসএ-র তরফে এই ব্যাপারে মন্তব্য করা হবে বলে খবর।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফর নিয়ে তৈরি পরিস্থিতির জন্য শ্রীনিবাসনকেই সম্পূর্ণ দায়ী করেছেন ললিত মোদী। রবিবার তিনি পরিষ্কার বলে দেন, “শ্রীনিবাসন দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ডকে ব্ল্যাকমেল করছে, খবরদারি চালাচ্ছে ওদের উপর। এর ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ক্রিকেটপ্রেমী মানুষ। যে ভাবে হোক শ্রীনিকে থামাতেই হবে।” কিন্তু আইসিসি কেন এ ব্যাপারে কিছু বলছে না? কেন আইপিএল ম্যাচ গড়াপেটা কেলেঙ্কারি নিয়েও তারা নিশ্চুপ? জবাব দিয়েছেন আইএস বিন্দ্রা। প্রাক্তন বোর্ড প্রেসিডেন্টের টুইট, “আমার জবাব একটাই। সবাই হারুণ হওয়ার ভয় পাচ্ছে।”
এর আগে অবশ্য আইএস বিন্দ্রার কাছ থেকে সমর্থনের একটি চিঠি পেয়ে সিএসএ কর্তারা আশ্বস্ত হয়েছিলেন যে, তাঁদের খুব বেশি আর্থিক ক্ষতি হবে না। শোনা যাচ্ছে, সিএসএ কর্তারা তখন ভেবেছিলেন ভারতীয় বোর্ড প্রশাসনে বদল আসতে চলেছে। তাই তাঁরা নিশ্চিন্তে লর্গ্যাটকেই সিইও পদে নিয়োগ করেন। আইসিসি-তে থাকার সময়ে লর্গ্যাট দুর্নীতিতে যুক্ত ছিলেন, এই অভিযোগে লর্গ্যাটের বিরোধিতা করছে ভারতীয় বোর্ড। কিন্তু সিএসএ-র দাবি, লর্গ্যাট অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং তারা লর্গ্যাটের বক্তব্যে সন্তুষ্ট। |