|
|
|
|
সিভিক পুলিশের কর্মপ্রার্থীদের সই সংগ্রহ |
কমিটি গড়ে আন্দোলনের ডাক
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
ইন্টারভিউ দিয়ে সফল হওয়ার পর পাঁচ মাস পার হলেও কাজ না পেয়ে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের লক্ষ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গড়লেন সিভিক পুলিশের কর্মপ্রার্থীরা। রবিবার খড়্গপুরের টাউন হলে তাঁরা একটি সভা করেন। সেখানেই তাঁরা ‘সিভিক পুলিশ সংগ্রাম কমিটি’ গড়ে আন্দোলনের সূচনা করেন।
সভায় ওই সংগঠনের ১০৩ জনের কমিটি গঠিত হয়। সম্পাদক হন খড়্গপুরের নিমপুরার হিঙ্কু দাস। সভাপতি হন অনিল দাস। বিগত বিধানসভা নির্বাচনে বাফ্রন্টের প্রার্থী হয়েছিলেন অনিলবাবু। তবে এই সিভিক পুলিশ সংগ্রাম কমিটি পুরোপুরি অরাজনৈতিক বলেই দাবি করেছেন কমিটির সদস্যদের। তাঁদের বক্তব্য, রাজ্যজুড়ে ১ লক্ষ ৩০ হাজার সিভিক পুলিশ নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। তার মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুর পুলিশ জেলায় ৮ এপ্রিল ১৭ হাজার ৯৬৫ জনকে ইন্টারভিউতে ডাকা হয়। ২০ এপ্রিল ওই তালিকা থেকে ৬ হাজার ২০০ জন সফল হন। অন্য দিকে ঝাড়গ্রাম পুলিশ জেলায় মোট ৩৮৩ জন সফল হন। কিন্তু পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও কাজ পাননি কেউই।
নিয়মানুযায়ী, পরীক্ষায় সফলদের ১০ দিনের ট্রেনিং দিয়ে ডেটাব্যাঙ্ক তৈরি করার কথা। সেই অনুযায়ী কাজ পাবেন প্রত্যেকে। এমনকী সফলদের পুলিশের চাকরির আবেদনেও কিছুটা অগ্রাধিকার মেলে। কিন্তু কিছুই না হওয়ায় সফল প্রার্থীরা দিশেহারা। জঙ্গলমহলে বিনপুরের পিন্টু মাহাতো, সাঁকরাইলের দীপক মাহাতো, নয়াগ্রামের রাকেশ মাহাতোদের কথায়, মুখ্যমন্ত্রী একাধিকবার জঙ্গলমহলে এসে সিভিক পুলিশ নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু পরীক্ষায় সফল হয়েও চাকরি মিলল না। পুলিশ-প্রশাসন কেউই কোনও দিশা দেখাতে পারছে না। একই বক্তব্য গড়বেতার পাপাই ঘোষ, খড়্গপুরের বাবলু পাড়ই, সোমনাথ সরকার, ধর্মেন্দ্র রজকের।
আজ সোমবার, থেকে বুধবার পর্যন্ত গিরি ময়দানের কাছে ক্যাম্প করে চলবে সাক্ষর অভিযান। এর পর ২৭ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে চিঠি পাঠানো হবে। তার সদুত্তর না পেলে একমাস বাদে ২৯ অক্টোবর ফের সভা হবে গিরি ময়দান এলাকাতেই। সংগঠনের সভাপতি অনিল দাস বলেন, “আমরা কর্মসূচি নির্ধারণ করেছি। বেকার যুবকদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলা চলবে না। প্রয়োজনে লাগাতার আন্দোলন শুরু হবে।”
|
|
|
|
|
|