ডানকুনির বেলডাঙায় বাঁশবাগানে কিশোরীর দেহ উদ্ধারের পর দু’দিন কাটলেও এখনও অধরা দুষ্কৃতীরা। শুক্রবার সকালে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় চন্ডীতলার রমানাথপুর মধ্য কুমিড়মোড়া গ্রামের বাসিন্দা নাফিসা খাতুন নামে ওই কিশোরীর দেহ মেলে। পুলিশের দাবি, তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। যাকে চেঁচাতে না পারে, তার জন্য তার মুখে কাপড় গুঁজে দেওয়া হয়েছে।
এ দিকে, রবিবার সকালে মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রামে কাজ করতে আসা ১০ জন রাজমিস্ত্রিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রামের লোকই তাঁদের ঘিরে রেখে খবর দেন পুলিশকে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাত থেকেই তাদের মধ্যে দু’জন নিখোঁজ। এসডিপিও (শ্রীরামপুর) রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “কয়েক জনকে আটক করা হয়েছে। কিছু সূত্র পাওয়া গিয়েছে। সেই অনুযায়ী তদন্ত চলছে।”
নাফিসা নামে ওই কিশোরীর বাড়ির লোক জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল তাকে। পরে খোঁজ মেলেনি। শুক্রবার বাড়ির লোকেরা চণ্ডীতলা থানায় যান। পুলিশের জানায় দেহ উদ্ধারের কথা। শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে গিয়ে নাফিসার দেহ শনাক্ত করেন তারা।
মেয়েটির প্রতিবেশীদের দাবি, মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির এক রাজমিস্ত্রির সঙ্গে যোগাযোগ ছিল মেয়েটির। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই সে ও আর এক জন নিখোঁজ। নিহত কিশোরীর দাদা শেখ ইসরাইল বলেন, “ঘটনার পরে দু’দিন কেটে গেলেও তদন্তের কোনও অগ্রগতি হয়নি। আমাদের বিশ্বাস ওই ছেলেটিকে ধরলেই সব জানা যাবে।” |