|
|
|
|
অসমে কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব তুঙ্গে, দিল্লিতে তরুণ গগৈ
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
বিক্ষুব্ধদের দাবি মেনে দলীয় বিধায়কদের বৈঠক ডাকার সিদ্ধান্ত নিল অসমের প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। একইসঙ্গে রাজ্য সভাপতি ভুবনেশ্বর কলিতা জানিয়ে দিলেন, যাঁরা দলের ভাবমূর্তির ক্ষতি করছেন, তাঁদের কঠোরভাবে দমন করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ বলেছেন, “সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়ক চাইলে এবং সনিয়া গাঁধী অনুমতি দিলে আমি অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে প্রস্তুত।”
রাজীব ভবনে গতকাল রাত পর্যন্ত হওয়া ওই বৈঠকে তরুণ গগৈ শিবির এবং তাঁর বিরোধী নেতা-বিধায়কেরা হাজির ছিলেন। তবে গগৈ বৈঠকে পৌঁছনোর আগেই বিরোধী শিবিরের নেতা হিসাবে পরিচিত শিক্ষা ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বের হয়ে যান। গগৈ জানান, দু’মাস আগে বিধায়কদের বৈঠক হয়েছে। অত্যন্ত জরুরী পরিস্থিতি না-হলে ঘন ঘন এই বৈঠক ডাকা হয় না। কিন্তু, গগৈ বিরোধী শিবিরের বিধায়কেরা পরিষদীয় মন্ত্রী নীলমণিসেন ডেকার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। দলীয় সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে দলের বিধায়কদের বৈঠক অবশ্যই ডাকা হবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বিরোধীরা চিঠিতে কিছু অসন্তোষের কথা উল্লেখ করেছেন। তবে, কারও বিরুদ্ধেই অনাস্থার কথা লেখা হয়নি। ওঁরা অনাস্থা জানালে, আমার কোনও সমস্যা নেই। সনিয়াজির অনুমতি মিললেই পদত্যাগ করে সমাজসেবা করব।”
গগৈ শিবিরের নেতা তথা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী রিপুন বরা প্রস্তাব দেন, কয়েকজন নেতা-বিধায়ক দলবিরোধী কাজ করায় কংগ্রেসের ভাবমূর্তি খারাপ হচ্ছে। তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি জানান, কেউ দলীয় অনুশাসন ভাঙলে দল অবশ্যই কঠোর পদক্ষেপ করবে। মন্ত্রিসভার রদবদল প্রসঙ্গে গগৈ মন্তব্য করেন, “প্রয়োজন হলে তা করা হবে।” আজ গগৈ দিল্লি গিয়েছেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব এবং মন্ত্রিসভা নিয়ে অসন্তোষের বিষয়ে বৈঠক করতে পারেন। গতকালের বৈঠকে ছ’টি জনগোষ্ঠীকে তফসিল উপজাতিগোষ্ঠীভুক্ত করার জন্য কেন্দ্রের উপরে চাপ দেওয়া ও পৃথক রাজ্যের দাবিতে আন্দোলনের মোকাবিলা করে রাজ্য অখণ্ড রাখার পক্ষেও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। |
|
|
|
|
|