শহরের সৌন্দর্যায়নের কাজ দেখভালের জন্য ডিজি পদমর্যাদার এক অফিসার নিয়োগ করবে কলকাতা পুরসভা। সমস্ত দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে সৌন্দর্যায়নের কাজ ত্বরান্বিত করাই হবে তাঁর কাজ। শহরকে সাজানোর এই কাজের দায়িত্ব পাবেন এক জন স্থপতি। পুরসভায় নিযুক্ত ইঞ্জিনিয়ার এবং বিশেষজ্ঞ স্থপতিদের মধ্যে কাউকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হবে। সম্প্রতি শহরের সৌন্দর্যায়ন নিয়ে এক বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত নেয় পুর-প্রশাসন। সেখানে হাজির ছিলেন কেএমডিএ, পূর্ত ও পর্যটন দফতরের পদস্থ অফিসারেরা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই বারবার কলকাতাকে সুন্দর করে গড়ে তোলার কথা বলেছেন। মূলত তাঁরই নির্দেশে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, শরৎ বসু রোড, আশুতোষ মুখোপাধ্যায় রোডে মিডিয়ান স্ট্রিপে গাছ লাগানো হয়েছে। বিভিন্ন রাস্তায় বসেছে ত্রিফলা আলো। গঙ্গাপাড়ের সৌন্দর্যায়ন হয়েছে। তবে পুরসভার মতে, শহরকে সাজানো এখনও অনেকটা বাকি। সে জন্যই এ বার সরকারের বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে একজোটে কাজ করা দরকার বলে মনে করছেন পুরকর্তারা।
শহরকে কী ভাবে সাজানো যায়, তাই ছিল পুর-বৈঠকের মূল বিষয়। শহরের কোন কোন রাস্তা, ফুটপাথ, হেরিটেজ বিল্ডিং, সেতু, উদ্যান ও জলাভূমিকে সাজানো হবে, কোন কোন জায়গা আলো দিয়ে সাজবে তা নিয়ে আলোচনা হয়। ঠিক হয়, প্রতিটি দফতর নিজেদের অধীনস্থ রাস্তা, পার্ক, জলাভূমি সাজাতে পৃথক ভাবে পরিকল্পনা করবে। তার রিপোর্ট দেওয়া হবে পুরসভাকে।
পুরসভার এক পদস্থ অফিসার জানান, সব দফতরের রিপোর্ট মিললেই এক জন কনসালট্যান্ট নিয়োগ করা হবে। যাঁর কাজ হবে রূপরেখা তৈরি করা। সেই রূপরেখা মেনেই শহরের সৌন্দর্যায়ন হবে।
মেয়র পারিষদ (পার্ক ও উদ্যান) দেবাশিস কুমার জানান, বিবাদী বাগে গোলদীঘি নতুন করে সাজিয়ে তোলার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ধর্মতলা চত্বরে মনোহরদাস তড়াগকে আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে গড়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে পূর্ত দফতর। গঙ্গাপাড় সৌন্দর্যায়নে বেশ কিছুটা কাজ হয়েছে। হাওড়া সেতুমুখী গঙ্গাপাড় সাজানোর কাজ চলছে দ্রুত গতিতে।
শুধু রাস্তা বা ফুটপাথ সাজানো নয়, শহরকে জঞ্জালমুক্ত করার বিষয়ে কড়া নজর দরকার বলে মনে করেন পুরকর্তারা। ইতিমধ্যেই জঞ্জাল অপসারণে শহরে কয়েকটি জায়গায় স্বয়ংক্রিয় কম্প্যাক্টর বসেছে। ভবিষ্যতে সেগুলির সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে বলে পুরকর্তারা জানিয়েছেন। কিছু কিছু জায়গায় হকারদের একই ধরনের মোবাইল কিয়স্ক দেওয়া হবে।
|