নরক-দর্পণে নগর দর্শন
ভ্যাট উপচে আবর্জনা এসে পড়েছে রাস্তায়। কাক-কুকুরের টানাটানিতে সেই আবর্জনা ছড়িয়ে পড়ছে চারপাশে। বৃষ্টির জমা জলে ভ্যাটের ময়লা মিলেমিশে একাকার। দুর্গন্ধে টেকা দায়। ভ্যাটের অন্তত ১০০ মিটার আগে থেকে পথচলতি মানুষকে নাকে রুমাল চাপা দিতে হচ্ছে। এই দৃশ্য যাদবপুর সেন্ট্রাল রোডের।
বাঙুর হাসপাতালের উল্টো দিকে দেশপ্রাণ শাসমল রোডেও একই চিত্র। কয়েক মাস আগে এখানে ঢাকা ভ্যাট তৈরি হয়েছিল। বসানো হয়েছিল টিনের দরজা। কিন্তু রবিবার দুপুরে দেখা গেল, ভ্যাটের দরজা হাট করে খোলা। জঞ্জাল বেরিয়ে এসেছে রাস্তায়। দুর্গন্ধে প্রায় অন্নপ্রাশনের ভাত উঠে আসার জোগাড়! ধর্মতলায় শহিদ মিনার সংলগ্ন রাস্তার দৃশ্য অবশ্য অন্য রকম। দাঁড়িয়ে থাকা সারি সারি বাসের মাঝখানেই আবর্জনার স্তূপ। তার উপরে জল জমে তৈরি হয়েছে দুর্গন্ধে ভরা কাদা। ডাবের খোলায় জমে থাকা জলে মশার আঁতুড়ঘর। সাফাই হলেও ভ্যাটের বাইরে জঞ্জালের অবশিষ্ট থেকে দূষণ ছড়ানোর ছবি দেখা গেল গণেশ টকিজ এলাকার তারাসুন্দরী পার্কের লাগোয়া জায়গায়। ওয়ার্ডে বড় একটি ভ্যাট খোলা পড়ে রয়েছে। আবর্জনা চলে এসেছে ভ্যাটের বাইরে। সাফাই হলেও জল, নোংরা-আবর্জনা জমে এলাকা নরককুণ্ড। ছবিটা শুধু এই ক’টা এলাকারই নয়। শহরের অধিকাংশ এলাকাতেই মানুষের অভিযোগ, ভ্যাট পরিষ্কারের পরেও তা আবর্জনামুক্ত হচ্ছে না। কোথাও আবর্জনা বেরিয়ে পড়ছে বাইরে। দুর্গন্ধের ঠেলায় আশপাশে টেকা দায়।
এপিসি রোড ধর্মতলা
শহিদ মিনার সংলগ্ন রাস্তায় দূরপাল্লার বাসস্ট্যান্ডের পাশেই জমা হয় ধর্মতলা এলাকার যাবতীয় দোকানপাটের আবর্জনা। আর তার পাশেই বসে থাকতে হয় বিভিন্ন দূরপাল্লার বাসের টিকিট বিক্রেতাদের। এমনই এক বিক্রেতা বাপন দাসের কথায়, “রোজই সকাল থেকে রাত ন’টা পর্যন্ত জঞ্জালের পাশে বসে থাকতে থাকতে শরীর খারাপ লাগে। কিন্তু উপায়ও তো নেই!” আবার যাদবপুর সেন্ট্রাল রোডের একটি ভ্যাটের ঠিক উল্টো দিকে এক আবাসনের বাসিন্দা দেবযানী চক্রবর্তী বলেন, “ভ্যাট এক দিন পরিষ্কার না হলেই রাস্তার উপরে চলে আসে আবর্জনা। মাঝে মাঝে রাস্তার অর্ধেকটা জুড়ে জমে থাকে। তারই পাশে আমাদের থাকতে হয়। জঞ্জাল পেরিয়ে দু’বেলা যাতায়াতও করতে হয়।” ভ্যাট উপচে আবর্জনা এসে পড়েছে রাস্তায়। কাক-কুকুরের টানাটানিতে সেই আবর্জনা ছড়িয়ে পড়ছে চারপাশে। বৃষ্টির জমা জলে ভ্যাটের ময়লা মিলেমিশে একাকার। দুর্গন্ধে টেকা দায়। ভ্যাটের অন্তত ১০০ মিটার আগে থেকে পথচলতি মানুষকে নাকে রুমাল চাপা দিতে হচ্ছে। এই দৃশ্য যাদবপুর সেন্ট্রাল রোডের।
বাঙুর হাসপাতালের উল্টো দিকে দেশপ্রাণ শাসমল রোডেও একই চিত্র। কয়েক মাস আগে এখানে ঢাকা ভ্যাট তৈরি হয়েছিল। বসানো হয়েছিল টিনের দরজা। কিন্তু রবিবার দুপুরে দেখা গেল, ভ্যাটের দরজা হাট করে খোলা। জঞ্জাল বেরিয়ে এসেছে রাস্তায়। দুর্গন্ধে প্রায় অন্নপ্রাশনের ভাত উঠে আসার জোগাড়!
ধর্মতলায় শহিদ মিনার সংলগ্ন রাস্তার দৃশ্য অবশ্য অন্য রকম। দাঁড়িয়ে থাকা সারি সারি বাসের মাঝখানেই আবর্জনার স্তূপ। তার উপরে জল জমে তৈরি হয়েছে দুর্গন্ধে ভরা কাদা। ডাবের খোলায় জমে থাকা জলে মশার আঁতুড়ঘর।
সাফাই হলেও ভ্যাটের বাইরে জঞ্জালের অবশিষ্ট থেকে দূষণ ছড়ানোর ছবি দেখা গেল গণেশ টকিজ এলাকার তারাসুন্দরী পার্কের লাগোয়া জায়গায়। ওয়ার্ডে বড় একটি ভ্যাট খোলা পড়ে রয়েছে। আবর্জনা চলে এসেছে ভ্যাটের বাইরে। সাফাই হলেও জল, নোংরা-আবর্জনা জমে এলাকা নরককুণ্ড। ছবিটা শুধু এই ক’টা এলাকারই নয়। শহরের অধিকাংশ এলাকাতেই মানুষের অভিযোগ, ভ্যাট পরিষ্কারের পরেও তা আবর্জনামুক্ত হচ্ছে না। কোথাও আবর্জনা বেরিয়ে পড়ছে বাইরে। দুর্গন্ধের ঠেলায় আশপাশে টেকা দায়।
সূর্য সেন স্ট্রিট কালীকৃষ্ণ ঠাকুর স্ট্রিট
শহিদ মিনার সংলগ্ন রাস্তায় দূরপাল্লার বাসস্ট্যান্ডের পাশেই জমা হয় ধর্মতলা এলাকার যাবতীয় দোকানপাটের আবর্জনা। আর তার পাশেই বসে থাকতে হয় বিভিন্ন দূরপাল্লার বাসের টিকিট বিক্রেতাদের। এমনই এক বিক্রেতা বাপন দাসের কথায়, “রোজই সকাল থেকে রাত ন’টা পর্যন্ত জঞ্জালের পাশে বসে থাকতে থাকতে শরীর খারাপ লাগে। কিন্তু উপায়ও তো নেই!” আবার যাদবপুর সেন্ট্রাল রোডের একটি ভ্যাটের ঠিক উল্টো দিকে এক আবাসনের বাসিন্দা দেবযানী চক্রবর্তী বলেন, “ভ্যাট এক দিন পরিষ্কার না হলেই রাস্তার উপরে চলে আসে আবর্জনা। মাঝে মাঝে রাস্তার অর্ধেকটা জুড়ে জমে থাকে। তারই পাশে আমাদের থাকতে হয়। জঞ্জাল পেরিয়ে দু’বেলা যাতায়াতও করতে হয়।”
চিকিৎসকদের বক্তব্য, এ ধরনের আবর্জনা থেকে ছড়িয়ে পড়তে পারে বিভিন্ন রোগ। গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট অভিজিৎ চৌধুরী বলেন, “এ ধরনের আবর্জনা থেকে আন্ত্রিক-সহ বিভিন্ন সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে।”
জঞ্জালময় শহরের এই চিত্র অবশ্য মানতে নারাজ পুরসভার মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল অপসারণ) দেবব্রত মজুমদার। তাঁর দাবি, “এখন এক বার বা দু’বার নয়। বিকেলের মধ্যে যখনই দেখা যায় ভ্যাটে এক লরি জঞ্জাল জমে গিয়েছে, পুরসভার লোক গিয়ে আবর্জনা তুলে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন।” প্রতিটি ভ্যাট পরিষ্কার রয়েছে কি না, তা দেখার জন্য কর্মীও নিযুক্ত রয়েছেন বলে তিনি জানান। এলাকাবাসীদের অবশ্য দাবি, ভ্যাট-নজরদারির দায়িত্বে থাকা কর্মীদের উপরেই নজরদারি চালানো হোক। তাঁরা কত বার এলাকায় আসেন, কাকে কী রিপোর্ট জমা দেন, সেই রিপোর্ট মোতাবেক কাজ হয় কি না, সে সব খতিয়ে দেখুক পুরসভা।
কত ভ্যাট রয়েছে শহরে? পুরসভা সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে কলকাতা পুর-এলাকায় মোট ভ্যাটের সংখ্যা সাড়ে পাঁচশোরও বেশি। পুরসভার কর্তাদের দাবি, ভ্যাট থেকে জঞ্জাল যাতে বাইরে ছড়িয়ে না পড়ে, সে জন্য বড় রাস্তার উপরে থাকা খোলা ভ্যাটগুলি বন্ধ করে তাতে দরজা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। তা হলে ভ্যাট থেকে জঞ্জাল কী করে বাইরে ছড়িয়ে পড়ছে? পুরকর্তাদের অভিযোগ, এর জন্য দায়ী কাগজ, প্লাস্টিক কুড়োনো মানুষজন। তাঁরা ভ্যাটের ভিতরে জঞ্জাল হাতড়ে কাগজ, বোতল, প্লাস্টিক আলাদা আলাদা করে বেছে বস্তা করে ভ্যাটের বাইরেই জমা করেন। এই কারণেই বাইরে ছড়িয়ে থাকছে আবর্জনা।
ভ্যাটের দুর্গন্ধ ঢাকতে কী ব্যবস্থা নিচ্ছে পুরসভা? পুরকর্তাদের দাবি, ভ্যাটগুলি পরিষ্কারের পরে ব্লিচিং পাউডার ছড়িয়ে দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও ভ্যাটের আশপাশের বাসিন্দাদের অভিযোগ, ব্লিচিং ছড়ানোর নির্দেশ থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। ফলে দুর্গন্ধ রয়েছে নিজের হালেই।

ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য।

পুরনো খবর:
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.