তৃণমূলে সামিল হলেও পাহাড়ের রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ, কর্মসংস্থানের হাল ফিরবে তো? শনিবার কালিম্পঙের নিমবঙে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরে ওই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন পাহাড়ের শতাধিক বাসিন্দা। অনেকে অতীতের অভিজ্ঞতার বর্ণনা করে জানিয়ে দিলেন, জিএনএলএফ থেকে শুরু করে গোর্খা জনমুক্তি মোচা, দুই দলের সঙ্গে থেকেও কাজের কাজ হয়নি। এমনকী, অতীতে কংগ্রেসের দিকে ঝুঁকেও হাল ফেরেনি পাহাড়ের। সে জন্য তৃণমূলে যোগ দিলেও ভয়টা যাচ্ছে না ভুক্তোভোগী পাহাড়বাসীদের। যা শোনার পরে তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব অবশ্য তাঁদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করলেন। মন্ত্রী বললেন, “আমরা যা বলি তা করার চেষ্টা করি। আপনাদের সমস্যার সমাধান করতে সবরকম চেষ্টা করব। আমাকে আপনারা পাশে পাবেন।” এ দিন কালিম্পং মহকুমার বারবোট এলাকার সেন্ট মার্গারেট মেরি হলে সভার পরে সেখানকার একমাত্র সরকারি স্কুলের বেহাল অবস্থা জানিয়ে স্মারকলিপি তুলে দেন পাবরিংতার পাবলিক ওয়েলফেয়ার কমিটির সভাপতি বাসিল লেপচা। তিনি বলেন, “এলাকায় একমাত্র সরকারি স্কুল বারবোট হাই স্কুল। |
কিন্তু সেখানে সরকারি ভাবে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয়। কিছুদিন থেকে নবম ও দশম শ্রেণি চালু হলেও পড়তে হয় নিজের খরচাতেই।” এলাকায় শিক্ষাক্ষেত্রের উন্নয়নের দাবি জানান তিনি। একই ভাবে এলাকার রাস্তার উন্নয়নের দাবি জানান স্থানীয় নেতা শিরিং শেরপা। মঞ্চে দাঁড়িয়েই তিনি বলেন, “বাগরাকোট থেকে নিম্বং পর্যন্ত রাস্তার বেহাল অবস্থা। দ্রুত এই রাস্তা মেরামত করতে হবে।” এলাকায় পানীয় জলের সমস্যার কথাও জানান তাঁরা। গৌতম দেব বলেন, “রাস্তা নিয়ে আলোচনা করে কাজ করা হবে। পানীয় জলের সমস্যাও মেটান হবে।” তিনি আরও বলেন, “পাহাড়ের উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকার কাজ করছে। এই সব বন্ধ এর রাজনীতি থেকে সরে এসে আলোচনার করে জিটিএ এর মাধ্যমেই উন্নয়ন করতে হবে।” তবে মুখে আলোচনার কথা বললেও রাজ্য যে কড়া অবস্থান থেকে সরে আসছে না তার স্পষ্ট ইঙ্গিত দেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী। গৌতমবাবু বলেন, “আশা করছি ২৭ সেপ্টেম্বর এর বৈঠকে মোর্চা আসবে। তবে যদি না আসে রাজ্য সরকারও চুপ করে বসে থাকবেন না। পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |