এ বার জয়ের হ্যাটট্রিক হবে কি না, তা নিয়ে জল্পনায় শাসক দল।
বিরোধী সিপিএমকে আশায় রেখেছে শাসক দলের ‘অন্তর্দ্বন্দ্ব’ এবং সাম্প্রতিক পঞ্চায়েত ভোটের ফল।
দফায় দফায় কয়েক পশলা বৃষ্টিতে সমস্যা হওয়া ছাড়া শনিবার পুরোপুরি নির্বিঘ্নে ডায়মন্ড হারবার পুরসভার ভোট মেটার পরে যুযুধান দু’পক্ষ ওই হিসেব মেলাতেই ব্যস্ত। দিনভর ভোট চলাকালীন দু’পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ভোটদাতাদের সাহায্য করার প্রতিযোগিতা চলল। কিন্তু কোনও পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের শরীরী ভাষাতেই জেতার ব্যাপারে তেমন প্রত্যয় দেখা গেল না। ভোট পড়ে ৮৭ শতাংশ। পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান তথা তিন নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী পান্নালাল হালদার অবশ্য দাবি করলেন, “আমরাই ক্ষমতায় আসছি। আমিই চেয়ারম্যান হব।” সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য শমীক লাহিড়ির দাবি, “জনগণ যা রায় দেবে, তা-ই হবে। মনে হচ্ছে পুরসভা আমাদের দখলেই হবে। এখানে পঞ্চায়েতেও আমরা ভাল ফল করেছি। প্রভাব পড়তে পারে।” |
১৬ আসনের এই পুরসভায় এ বার জিতলে তৃণমূল হ্যাটট্রিক করবে। কিন্তু ভোটের আগে তাদের অস্বস্তি বাড়িয়েছিল অন্তর্দ্বন্দ্ব। সেই রিপোর্ট পৌঁছেছিল দলের রাজ্য নেতৃত্বের হাতে। যদিও পান্নালালবাবু দাবি করেছেন, “বিরোধ মিটে গিয়েছে।” কিন্তু কর্মী-সমর্থকেরা অন্তর্ঘাতের আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না। পান্নালালবাবুকেও এ দিন ভোটারদের বুথে পৌঁছে দিতে দেখা গিয়েছে।
সিপিএমকে আশার আলো দেখাচ্ছে পঞ্চায়েত ভোটের ফল। ডায়মন্ড হারবার-১ ব্লকে পড়ছে পুরসভা। সাম্প্রতিক পঞ্চায়েত ভোটের ফলে দেখা যাচ্ছে, ডায়মন্ড হারবার-১ পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূল দখল করলেও তাদের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে বামেরা। আটটি পঞ্চায়েতের মধ্যে এ বার চারটিতেও তারা ক্ষমতায় এসেছে। তারই প্রভাব এ বার পুরভোটেও পড়তে পারে বলে মনে করছেন সিপিএম নেতৃত্ব।
সিপিএম নেতা শমীক লাহিড়ি এ বার দলের পক্ষ থেকে পুরভোট পরিচালনা করেছেন। সকাল থেকে ডায়মন্ড হারবারের দলীয় কার্যালয়ে ছিলেন তিনি। বিভিন্ন ওয়ার্ডেও ঘোরেন। তাঁর কথায়, “পরিস্থিতি আমাদের পক্ষেই। ওরা (তৃণমূল) গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার। ভোটে তেমন সুবিধা করতে পারবে না।” তবে সিপিএম কর্মীদের কথাবার্তা ধরা পড়েছে আত্মবিশ্বাসের অভাবই। তাঁরা মনে করছেন, পুরভোটে ক্ষমতার হেরফের হবে না।
লড়াইয়ে ছিল বিজেপি এবং কংগ্রেসও। তারা পুরসভার ক্ষমতা দখল করার প্রত্যয় না দেখালেও আসন বাড়ার ব্যাপারে আশাবাদী। |