দু’টি দুর্ঘটনায় আরামবাগে দু’জনের মৃত্যু হল। শনিবার হাওড়ামুখী চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে আরামবাগ স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে পড়ে গিয়ে গুরুতর জখম হন এক যুবক। শের হিরা (৩৫) নামে ওই যুবককে আশঙ্কজনক অবস্থায় আরামবাগ হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে সেখানেই তিনি মারা যান। বাড়ি আরামবাগের কাঁটাবনি এলাকায়। অন্য দিকে, শুক্রবার পুড়শুড়ার চিলাডাঙ্গিতে সামন্ত রোডে বালি বোঝাই লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয় মোটরবাইক আরোহী অর্চনা মাজি (২৬) নামে এক মহিলার। বাড়ি খানাকুলের কনকপুরে। ওই দুর্ঘটনায় জখম মৃতার স্বামী রাজকুমার মাজিকে আরামবাগ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
|
কলেজের পুকুরে হাত-পা ধুতে নেমে ডুবে মৃত্যু হল প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের। শনিবার বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশন শিল্পমন্দিরের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ছাত্রের নাম সার্থক মজুমদার (১৯)। তিনি হুগলির চুঁচুড়ার বাসিন্দা। পুলিশ ও শিল্পমন্দির সূত্রের খবর, চুঁচুড়ার ফুলপুকুর রোডের বাসিন্দা পেশায় রেলকর্মী গৌতমবাবুর ছেলে সার্থক শিল্পমন্দির পলিটেকনিক কলেজের ইলেকট্রনিক্স ও টেলি কমিউনিকেশন বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র। এ দিন বিকেলে ক্লাস শেষের পর বন্ধুদের সঙ্গে তিনি কলেজের মাঠেই ফুটবল খেলছিলেন। খেলা শেষ হওয়ার পরে অন্যদের সঙ্গেই মাঠ সংলগ্ন পুকুরে নামেন সার্থক। কিছু ক্ষণ পরে বন্ধুরা খেয়াল করেন সার্থক তাঁদের সঙ্গে নেই। বিষয়টি জানার পরেই কলেজ কর্তৃপক্ষ খবর দেন বেলুড় থানা ও দমকলকে। ইতিমধ্যেই সারদা পীঠের কর্মীরাও ওই ছাত্রটিকে খুঁজতে পুকুরে নেমে পড়েন। রামকৃষ্ণ মিশন সারদাপীঠ ও শিল্পমন্দিরের সম্পাদক স্বামী দিব্যানন্দ জানান, মিনিট পনেরো খোঁজার পরে ওই ছাত্রকে উদ্ধার করেন সারদা পীঠ ও দমকল কর্মীরা। এর পরে সার্থককে হাওড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
|
স্কুল যাওয়ার নাম করে বেরিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক ছাত্রের। শনিবার সকালে বালির ঘটনা। পুলিশ জানায়, রঞ্জনকুমার সাউ (১৭) নামে ওই ছাত্র হাওড়ার ভগবান গাঙ্গুলি লেনের বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রের খবর, দুপুর ১টা নাগাদ পূর্ব রেলের হাওড়া শাখার বালি ও বেলুড় স্টেশনের মাঝে অচৈতন্য অবস্থায় ওই কিশোরকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়েরা। তার মাথায় গভীর ক্ষত ছিল। খবর পেয়ে বেলুড় জিআরপি তাকে উদ্ধার করে হাওড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ওই ছাত্রের ব্যাগ থেকে স্কুলের পরিচয়পত্র মেলে। তা দেখেই হাওড়া শিক্ষায়তন স্কুলে খবর পাঠায় রেল পুলিশ। স্কুল থেকেই রঞ্জনের বাড়িতে খবর পাঠানো হয়। |