|
|
|
|
টানা বন্ধে ক্ষতি, টান বোনাস-এ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দার্জিলিং |
গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার টানা বন্ধে বিপুল ক্ষতি হওয়ায় চা শ্রমিকদের বোনাসে কোপ পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। শুক্রবার দার্জিলিঙে বোনাস নিয়ে শ্রমিকপক্ষের সঙ্গে মালিক সংগঠনের বৈঠকের পরে ওই আশঙ্কা আরও জোরদার হয়েছে। দার্জিলিং টি অ্যাসোসিয়েশনের (ডিটিএ) তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, প্রায় দেড় ধরে পাহাড়ে বন্ধ চলার সময়ে চা বাগান খোলা থাকলেও লোকসান হয়েছে। কারণ, উৎপাদিত চা পাহাড় থেকে কোথাও পাঠানো যায়নি। সে জন্য ২০১২ সালের মতো এবার সব শ্রেণির চা বাগানের শ্রমিকদের ২০ শতাংশ হারে বোনাস দেওয়া সম্ভব হবে না বলে মালিক সংগঠন জানিয়ে দিয়েছে। মালিকপক্ষের প্রস্তাব, ‘এ এবং বি’ শ্রেণির বাগানের শ্রমিকদের ১৯ শতাংশ হারে ও বাকি বাগানে ১৬ শতাংশ হারে বোনাস দেওয়া হবে। মোর্চা অনুমোদিত দার্জিলিং তরাই-ডুয়ার্স প্ল্যান্টেশন লেবার ইউনিয়য়নের পক্ষ থেকে ওই প্রস্তাব মানা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের দাবি, সব বাগানকে আগের মতো ২০ শতাংশ হারে বোনাস দিতে হবে। শেষ পর্যন্ত ঠিক হয়েছে, আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর ফের উভয় পক্ষ বৈঠকে বসে সমাধানসূত্র খোঁজার চেষ্টা করবে। দার্জিলিং পাহাড়ে ৮৭টি চা বাগান রয়েছে। সব মিলিয়ে শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ৭০ হাজার। তার মধ্যে ৬৮টি চা বাগান ডিটিএ-এর সদস্য। সংগঠনের মুখ্য উপদেষ্টা সন্দীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, “টানা বন্ধে বাগান খোলা থাকলেও উৎপাদন ক্রেতাদের কাছে পাঠানো যায়নি। সব বাগান লোকসানের মুখে পড়েছে।” মোর্চা প্রভাবিত চা শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সুরজ সুব্বা বলেন, “আন্দোলনের বাগানকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। চা শ্রমিকদের বোনাস কমবে কেন? আশা করি আলোচনা সমস্যা মিটে যাবে।” |
|
|
|
|
|