রাজ্য-নীতির সমালোচনা ‘বন্দিমুক্তি’র
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেবের খাসতালুকে শিলিগুড়িতে বসে তাঁর সমালোচনা করল বন্দিমুক্তি কমিটি। বন্দিমুক্তি কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছোটন দাস শুক্রবার বলেন, “ক্ষমতায় আসার আগে জঙ্গলমহল থেকে যৌথ বাহিনী প্রত্যাহারের দাবিতে আমাদের সঙ্গে ছিলেন এখনকার শাসক দলের নেতারা। এখন তাঁরা কেন পাহাড়ে ও জঙ্গলমহলে সেনা রাখছেন? এ কেমন নীতি?” তিনি আরও বলেন, “সরকারের আর্থিক অবস্থা খারাপ, তবে এত টাকা ব্যয় করে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার কী দরকার।” উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব এদিন বলেন, “বাম আমলে জঙ্গলমহলের পরিস্থিতি একরকম ছিল। পরিস্থিতি বুঝে আইন মেনে পদক্ষেপ করছে সরকার।” তাঁর পাল্টা অভিযোগ, “পাহাড়কে অশান্ত করতেই এই সব কথা বলা হচ্ছে।” দু’দিন পাহাড়ের বিভিন্ন বন্দিদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন কমিটির আটজনের প্রতিনিধি দল। শুক্রবার শিলিগুড়িতে এসে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, “পুরনো মামলায় ১৩০০ জনকে ধরা হয়েছে। কিন্তু জিটিএ চুক্তি অনুযায়ী পুরনো মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার বিষয়টির উল্লেখ থাকলেও তা করা হচ্ছে না।” তাঁদের অভিযোগ, “ধৃতদের নিজের এলাকার সংশোধনাগারে না রেখে সমতলে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে তাঁরা পরিবারের লোকেদের সঙ্গে দেখাও করতে পারছে না তাঁরা। এটাও একপ্রকার নির্যাতন চালাচ্ছে রাজ্য সরকার।” তাঁদের অভিযোগ, “নানা ক্ষেত্রে আইনের তোয়াক্কা করছে না সরকার। আন্দোলনকারীদের গ্রেফতার করা হলেও ‘মেমো অব অ্যারেস্ট’ দেওয়া হয়নি। রাতে বাড়ি গিয়ে গ্রেফতার করা হয় অনেককে।” আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে প্রতিটি জেলায় জেলাশাসকের দফতরে এই নিয়ে বিক্ষোভ দেখাবেন তাঁরা।
|
পুরভোটেও সন্ত্রাস নিয়ে সরব বিরোধীরা
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
পঞ্চায়েতের পর পুর নির্বাচনেও তৃণমূল সুষ্ঠু এবং অবাধ ভোট ঠেকাতে সন্ত্রাস করছে বলে অভিযোগ তুলল বিরোধীরা। শুক্রবার বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু গণতন্ত্রের উপর হামলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন। বহিরাগত ও সমাজবিরোধীদের এলাকায় ঢুকিয়ে তৃণমূল পুরভোটে অশান্তির পরিবেশ তৈরি করেছে বলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাল কংগ্রেস। বিজেপি-ও তাদের প্রার্থীর উপরে তৃণমূলের আক্রমণের অভিযোগ জানাল থানায়। বিমানবাবু এ দিন বলেন, “ভোটাররা যাতে অবাধে, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট দিতে পারেন, তার জন্য প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানাচ্ছি।” সহলদিয়ায় পুরবোর্ড বামেরা দখল করলেও তা তাদের হাতছাড়া হয়েছে এ দিনই। ওই ঘটনার প্রভাব কি এই পুরভোটে পড়তে পারে? বিমানবাবুর জবাব, “রাজ্যবাসীকে বুঝতে হবে, গণতন্ত্রের উপরে হামলা বন্ধ না হলে রাজ্যে অন্ধকার নেমে আসবে!” প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যের বক্তব্য, “সব বুথে জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের রাখার জন্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডেকে লিখিত অনুরোধ করেছি।” পাশাপাশি, বৃহস্পতিবার রাতে পানিহাটি পুরসভার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী প্রদীপ দাসের বাড়িতে হামলার অভিযোগও উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। প্রার্থী এ দিন ঘোলা থানায় ওই অভিযোগ দায়ের করেছেন।
|
ক্রেতা সুরক্ষায় নিয়োগ ৩ মাসে, নির্দেশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ক্রেতা সুরক্ষা দফতরে চাকরির জন্য প্যানেলভুক্ত হয়েও যাঁরা নিয়োগপত্র পাচ্ছিলেন না, তিন মাসের মধ্যে তাঁদের নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুন্যাল (স্যাট)। ২০০৯ সালে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরে গ্রুপ ডি পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি বেরোয়। ২০১০-এ পিএসসি তার পরীক্ষা নেয়। প্যানেল বেরোয় ২০১১-এর মে মাসে। প্যানেলে স্বাস্থ্য, ক্রেতা সুরক্ষা, কারিগরি শিক্ষা এবং শ্রম দফতরের গ্রুপ ডি পদে নির্বাচিত হিসাবে যাঁদের নাম ছিল, তাঁদের সরকার নিয়োগ করেনি। নিয়োগ চেয়ে তাঁরা স্যাটে মামলা করেন। সম্প্রতি স্বাস্থ্য দফতরের জন্য প্যানেলভুক্তদের নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছে স্যাট। রাজ্য তা মেনে নিয়োগ শুরুও করেছে। এ বার ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের জন্য প্যানেলভুক্তদেরও জয় হল।
|
শিল্পায়নের কথা মাথায় রেখে রানিগঞ্জ থেকে ধানবাদ পর্যন্ত ছ’লেন রাস্তা তৈরির সমীক্ষা শুরু করেছে রাজ্য। শুক্রবার পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে এসে এ কথা জানান রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। প্রস্তাবিত রাস্তাটি রঘুনাথপুর হয়ে যাবে। পুরুলিয়া জেলার উত্তর অংশে (রঘুনাথপুর মহকুমা) শিল্পায়নে জোর দিতে চাইছে রাজ্য। এখানেই ডিভিসি-র মেগা তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ চলছে। কাছেই আসানসোল শিল্পাঞ্চল। ঝাড়খণ্ডের খনি এলাকা ধানবাদের দূরত্বও খুব বেশি নয়। আসানসোল ও ধানবাদ খনি অঞ্চলের সঙ্গে রঘুনাথপুরকে সরাসরি জুড়ে দিতে পিপিপি মডেলে এই নতুন রাস্তা তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য। পুরমন্ত্রীর জানান, নতুন এই রাস্তার নাম হবে ‘রঘুনাথপুর ইকনমিক করিডর’। মন্ত্রীর কথায়, “এক দিকে, অন্ডাল বিমাননগরী। রঘুনাথপুরের শিল্প এলাকা মিলিয়ে এই গোটা অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়ন ঘটাতে বিশেষ উদ্যোগী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রঘুনাথপুরে অকৃষি জমির পরিমাণও বেশি। তাই এখানকার শিল্পায়ন এবং পরিকাঠামো উন্নয়নের স্বার্থে আমরা রানিগঞ্জ থেকে রঘুনাথপুর ছুঁয়ে ধানবাদ পর্যন্ত ছ’লেনের রাস্তা তৈরি করব। আপাতত সমীক্ষার কাজ শুরু করেছে নগরোন্নয়ন দফতর।” |