|
|
|
|
খরিফে ভাল ফলনের আশায় কৃষি দফতর
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
গত বছর ভাল বৃষ্টি হয়নি। তার জেরে ভুগতে হয়েছিল দেশের চাষিদের। প্রভাব পড়েছিল উৎপাদনে। চলতি বছরের বৃষ্টি সেই ঘাটতিকে মিটিয়ে দিয়েছে। এ বার খরিফ মরসুমে দেশ জুড়েই রেকর্ড পরিমাণ ধান উৎপাদন হবে বলে জানাচ্ছেন কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রকের কর্তারা। সারা দেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গেও রেকর্ড পরিমাণ এলাকায় খরিফ ধানের চাষ হয়েছে। তাই বেশি উৎপাদনের আশায় রাজ্য কৃষি দফতর। রাজ্য কৃষি অধিকর্তা পরিতোষ ভট্টাচার্য বলেন, “ধানের উৎপাদন বাড়াতে এ বার বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। বৃষ্টি হওয়ায় তাতে সুবিধা হয়েছে।”
২০১১ সালে সারা দেশে ৯২.৭৮ মিলিয়ন টন ধান উৎপাদিত হয়েছিল। এ বার সেই রেকর্ডকে ছাপিয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। সারা দেশে সবচেয়ে বেশি ধান চাষ হয় উত্তরপ্রদেশে। সাধারণত ৫৬.৯১ লক্ষ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়। এ বার সেখানে ৫৯.৬৪ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হচ্ছে। সারা দেশে ধান চাষে দ্বিতীয় পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্যে প্রায় ৪১.১৫ লক্ষ হেক্টর জমিতে খরিফ ধানের চাষ হয়। চলতি মরসুমে প্রায় ৪১.৭০ লক্ষ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হচ্ছে। কৃষি দফতরের দাবি, চলতি মরসুমে প্রায় ৪২ লক্ষ হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছিল। সেটা পুরো করা যায়নি। পরিতোষবাবু বলেন, “লক্ষ্যমাত্রা একটু বাড়িয়ে রাখায় সুবিধা হয়।”
রাজ্যের কৃষি কর্তারা জানান, এ রাজ্যেও প্রায় ৮ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। তাই ধান চাষে খরচ কিছুটা কম হয়েছে। পুরনো বিভিন্ন ধানের প্রজাতি চাষে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। বর্ধমান, হুগলি এবং নদিয়া জেলায় এই প্রচারে জোর দেওয়া হয়েছে। সুগন্ধি ধান গোবিন্দভোগ এবং তুলাইপঞ্জি চাষে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। তাতে রফতানিও বাড়বে। ডিরেক্টর জেনারেল অফ কমার্শিয়াল ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড স্ট্যাটিস্টিকস-এর তথ্য অনুযায়ী চলতি বছরে বাসমতি-সহ সুগন্ধি চাল রফতানি প্রায় ১৭ শতাংশ বেড়েছে। প্রায় ১১.১৬ লক্ষ টন চাল রফতানি করা হয়েছে। আয় হয়েছে ৭৭৫৬ কোটি টাকা। সেই তথ্য মাথায় রেখেই রাজ্যের কৃষি কর্তারা সুগন্ধি ধান চাষে উৎসাহ দিয়েছেন। অন্য চালের রফতানি প্রায় সাড়ে পাঁচ শতাংশ কমেছে। রাজ্যে গত মরসুমে সুগন্ধি ধান প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর এলাকায় হয়েছিল। চলতি মরসুমে তা ২৫ হাজার হেক্টরে হয়েছে বলে কৃষি কর্তাদের অনুমান। |
|
|
|
|
|