|
|
|
|
প্রসঙ্গ ভোট খরচ |
হিসেব নেই, কমিশনের কোপে ২৪ প্রার্থী
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় • রামপুরহাট |
গত বিধানসভা নির্বাচনে খরচের হিসেব পেশ করতে না পারায় রাজ্যের ২৪ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিল ভারতীয় নির্বাচন কমিশন। ১৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের ওই প্রার্থীরা আগামী তিন বছর লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে লড়তে পারবেন না বলে ১৩ অগস্ট প্রকাশিত কলকাতা গেজেটের বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের কালো তালিকায় থাকা ওই প্রার্থীরা অবশ্য নির্বাচনে হেরেছেন।
শাসকদল তৃণমূল ও বিরোধী সিপিএমের ১ জন করে প্রার্থীর নাম তালিকায় রয়েছে। বাকিরা হলেন বিজেপি-র ৪ জন, বহুজন সমাজবাদী পার্টির ৩ জন এবং ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টি, পিডিসিআই, পিডিএস, সিপিআই (এমএল-লিবারেশন)-র ১ জন করে প্রার্থী। অন্য দল ও সংগঠনগুলির আরও ১০ প্রার্থীও রয়েছেন।
১৯৫১ সালের ‘জন প্রতিনিধিত্ব আইন’ অনুযায়ী বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থীদের কমিশনের কাছে প্রচারের খরচ পেশ করার নিয়ম। রাজ্য প্রশাসনের এক কর্তা জানান, নির্বাচন পর্বের মধ্যে তিন বার প্রার্থীদের অর্থ বিষয়ক পর্যবেক্ষকের কাছে প্রচারের খরচ দেখাতে হয়। চুড়ান্ত ভাবে খরচের হিসেব পেশ করতে হয় ফল ঘোষণার এক মাসের মধ্যে। তারপরেও হিসেব জমা না দিলে পরবর্তী ধাপে তাঁদের ‘শো-কজ’ করা হয়। জবাব সন্তোষজনক না হলে কিংবা হিসাব জমা না পড়লে ওই প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
তালিকায় নাম থাকা তৃণমূলের একমাত্র প্রার্থী হলেন বাঁকুড়ার রানিবাঁধ কেন্দ্রের ফাল্গুনী হেমব্রম। তাঁর দাবি, “নির্বাচনের পরেই স্বামীর চিকিৎসার জন্য বাইরে ছিলাম। তবে আমার নির্বাচনী এজেন্ট খরচের হিসাব জমা দিয়েছিলেন। রসিদও রয়েছে। কমিশনের চিঠির জবাবও দিই।” বাঁকুড়া জেলারই ইন্দাস কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী শান্তনুকুমার বরাও ওই তালিকায় রয়েছেন। তাঁর দাবি, “নির্বাচনের পর থেকেই বাড়ির বাইরে রয়েছি। কমিশনের চিঠি হাতে পাইনি। আমার এজেন্ট হিসাব জমা করেছিলেন কি না খোঁজ নিতে হবে।” সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অমিয় পাত্রের অভিযোগ, “তৃণমূলের সন্ত্রাসে শান্তনু ভোটের পরেই ঘরছাড়া। কী ভাবে হিসেব জমা করবেন তিনি?”
বিজেপি-র চার প্রার্থী হলেন হুগলির বলাগড়ের বংশী রাউত, বাঁকুড়ার রানিবাঁধের লক্ষ্মীকান্ত সর্দার ও তালড্যাংরার মিলন সিংহ মহাপাত্র এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের শেখর নস্কর। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহের বক্তব্য, “আমরা দলের সব প্রার্থীকেই হিসাব জমা করতে বলেছিলাম। তার পরেও ওঁরা কেন জমা দেননি খোঁজ নেব।”
অন্য দলগুলির প্রার্থীদের মধ্যে ওই তালিকায় বাঁকুড়া জেলার ছাতনা, তালড্যাংরা, বাঁকুড়া ও ওন্দার আরও ছ’জন প্রার্থীর নাম রয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর পূর্ব, বারুইপুর, মগরাহাট পূর্ব, মগরাহাট পশ্চিম, বিষ্ণুপুর, টালিগঞ্জ কেন্দ্রের মোট আট প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন। এ ছাড়া হুগলি জেলার বলাগড় ও চুঁচুড়ার দু’জন, নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের এক জন এবং বীরভূমের হাঁসনের এক জন রয়েছেন। হাঁসনের সেই নির্দল প্রার্থী মহম্মদ রফিউদ্দিন (মোমিন) এ বার পঞ্চায়েত নির্বাচনে রামপুরহাট ২ পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূলের প্রতীকে জিতেছেন। |
|
|
|
|
|