|
|
|
|
মিজো ভোটের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করলেন সনিয়া |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
মন্দ আবহাওয়াকে উপেক্ষা করেই মিজোরামে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করে দিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। আজ আইজলে এক জনসভায় নতুন খাদ্য নিরাপত্তা আইন ও ইতিমধ্যে সফলভাবে রূপায়িত রাজ্যের ভূমি ব্যবহার নীতির চতুর্থ পর্যায়ের উদ্ধোধন করে সনিয়া বলেন, “আসন্ন নির্বাচনে কংগ্রেসের জয়ের ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। মিজোরাম আমার ও আমার পরিবারের অন্যতম প্রিয় জায়গা। এখানকার মানুষও আমাদের ভালবাসার দাম দিয়েছেন।
কথা দিচ্ছি, কংগ্রেসের জনদরদী নীতির ফলে রাজ্যের কেউ অভুক্ত থাকবেন না।”
এ দিন লেংপুই বিমানবন্দর থেকে চপারে মুয়ালপুই যান সনিয়া। সঙ্গে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী লাল থানহাওলা। মিজোরাম সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর তৃতীয় ব্যাটেলিয়নের মাঠের এই জনসভায় মন্ত্রিসভার প্রায় সকলেই হাজির ছিলেন। রাজ্যে খাদ্য নিরাপত্তা আইন লাগু করার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা সনিয়া করেন। তিনি জানান, আজ থেকেই নতুন আইন অনুসারে চাল, ডাল, গম ও অন্যান্য শস্য ভর্তুকিমূল্যে পাওয়া যাবে। রাজ্যে এটি সনিয়ার সপ্তম সফর। দু’মাস পরের বিধানসভা ভোটের জন্য কংগ্রেসের প্রচার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হল। সনিয়াকে হাতে বোনা বহুরঙা মিজো পুয়ান উপহার দেন মুখ্যমন্ত্রী। |

শুক্রবার আইজলে কংগ্রেসের জনসভায় সনিয়া গাঁধী। সঙ্গে রয়েছেন
মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী লাল থানবাওলা। ছবি: উজ্জ্বল দেব |
১৫ মিনিটের বক্তৃতায় সনিয়া কংগ্রেসের বিভিন্ন সাফল্যকে সংক্ষেপে তুলে ধরেন। প্রথাগত ঝুম চাষের স্থানে নতুনভাবে ভূমি ব্যবহার করে যে কৃষি পদ্ধতি মিজোরামে চালু করা হয়েছে তা ইতিমধ্যেই সফলতার মুখ দেখেছে।
তার চতুর্থ পর্যায়ের সূচনা করলেন সনিয়া। ২৪৬২ কোটি টাকার এই প্রকল্পে প্রথাগত চাষের পাশাপাশি ফলের চাষ, বিভিন্ন বাণিজ্য উদ্ভিদের ফলন, হস্তশিল্প বিকাশও অন্তর্ভুক্ত।
২১০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তুইভাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ও সাতটি অন্য প্রকল্প যে ইউপিএ সরকারেরই অবদান তা মনে করিয়ে দিয়ে সনিয়া ভরসা দেন, সব প্রকল্পের ক্ষেত্রেই পরিবেশের ভারসাম্যের বিষয়টিকে মাথার রাখা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী লাল থানহাওয়লা সনিয়ার সামনেই প্রতিশ্রুতি দেন, ৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতা বিশিষ্ট তুইরিয়াল জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ ২০১৪ সালের মধ্যে শেষ হবে। রাজ্যে শীঘ্রই গড়া হবে মেডিক্যাল কলেজ ও কৃষি কলেজ। গত বার কংগ্রেস ৪০টির মধ্যে ৩২টি আসন পেয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী ও সনিয়ার আশা, এ বার ফল আরও ভাল হবে।
আইজল থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে, সেরচিপের চিংচিপ গ্রামে রাজ্যের প্রথম সৈনিক স্কুলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনে সনিয়ার যাওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু আবহাওয়া আরও খারাপ হওয়ায় যাত্রা বাতিল করা হয়। আইজলেই সৈনিক স্কুলের প্রতীকিশিলান্যাস করে দিল্লি ফিরে যান সনিয়া। |
|
|
 |
|
|