|
|
|
|
মোদীকে বিঁধে কংগ্রেসের কাছে আসার বার্তা নীতীশের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
ধর্মনিরপেক্ষতাই তাঁর মন্ত্র, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের মঞ্চ থেকে ঘোষণা করলেন নীতীশ কুমার। বার্তা দিলেন কংগ্রেসের কাছে আসার। বিজেপি নরেন্দ্র মোদীকে দলের মুখ করে তুলছে দেখেই নীতীশ এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন। এখন সেই মোদীই বিজেপি-র প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী, দিল্লিতে দলের রণকৌশল স্থির করতে ব্যস্ত। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের মতো সাম্প্রদায়িকতার বিরোধিতাকেই মূল হাতিয়ার করতে চাইছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।
জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের পঞ্চমবার্ষিকী অনুষ্ঠানে এই প্রথম কোনও মুখ্যমন্ত্রীকে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। একে ইউপিএ-র তরফে নীতীশের প্রতি বার্তা বলেই মনে করছিলেন অনেক। ওই মঞ্চ থেকে কার্যত কংগ্রেসকে প্রত্যুত্তর দিলেন নীতীশ। বিজেপি-কে নিশানা করে এ দিন তিনি বলেন, “ভারতের মতো বৈচিত্র্যপূর্ণ দেশে যারা বহুত্ববাদে বিশ্বাস করে না, মানুষের আস্থা হারিয়ে ফেলে তারা।”
এই ধরনের সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধেই তিনি নিরন্তর লড়ছেন বলে দাবি করে নীতীশ স্মরণ করিয়ে দেন, কী ভাবে গত ৮ বছর ধরে তিনি তাঁর দল ও সরকারের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র বজায় রেখে এসেছেন। মোদীর পক্ষে সমর্থনের হাওয়া উঠছে বলে বিজেপি যে দাবি করছে, তা উড়িয়ে দিয়ে নীতীশের কটাক্ষ, “স্বতঃস্ফূর্ত নয়। ও আসলে ব্লোয়ারের কৃত্রিম হাওয়া।”
সঙ্ঘ পরিবারের আপত্তি সত্ত্বেও লোকসভা ভোটের মুখে মোদী এখন নিজের উদারবাদী ভাবমূর্তি সামনে রাখতে চান। যে জন্য তাঁর জন্মদিনে সংখ্যালঘুদের জন্য একাধিক প্রস্তাবও নিয়েছে তাঁর দল। নীতীশের দাবি, এ সবে কিছু হওয়ার নয়। কারণ দেশবাসীর কাছে দল বা নেতার বিশ্বাসযোগ্যতাই আসল কথা। এই সূত্রে মুজফ্ফরনগর থেকে বিহারের নওয়াদা জেলা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গোষ্ঠী সংঘর্ষের জন্য পরোক্ষে বিজেপি-র মেরুকরণের নীতিই দায়ী বলে নীতীশ অভিযোগ করেন।
এ দিনই বিহারের খরা পরিস্থিত নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সঙ্গে বৈঠক করেন নীতীশ। ১২ হাজার কোটি টাকা সাহায্য দাবি করেন কেন্দ্রের কাছ থেকে। জেডিইউ সূত্রের খবর কেন্দ্র সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে। এটাকেও কংগ্রেস-জেডিইউ কাছাকাছি আসার ইঙ্গিত বলেই মনে করছেন দু’দলের সমর্থক ও নেতারা। |
|
|
|
|
|