|
|
|
|
বজবজ ট্রাঙ্ক রোড |
সম্প্রসারণে বাধা, নিত্য নাকাল যাত্রীরা
দেবাশিস দাস |
কোনও ভাবে যদি এক বার দাঁড়িয়ে পড়ে গাড়ি, আর এগোয় না। এমনকী আধ ঘণ্টার রাস্তা দেড় ঘণ্টা লেগে যায় পেরোতে। নিত্যযাত্রীদের যানজটে নাকাল হওয়াটাই দস্তুর হয়ে দাঁড়িয়েছে বজবজ ট্রাঙ্ক রোডের (বিবিটি রোড) ব্রেসব্রিজ, জিঞ্জিরাবাজার, ডাকঘর মোড়, চড়িয়ালে। বাসিন্দা এবং নিত্যযাত্রীরা জানান, সমস্যা অনেক দিনের। কারও কোনও হেলদোল নেই।
বিবিটি রোড দক্ষিণ শহরতলির অন্যতম ব্যস্ত একটি রাস্তা। কেন তার এমন হাল? স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, রাস্তাটি সম্প্রসারণের কথা বেশ কয়েক বার শোনা গিয়েছিল। কিন্তু সেই কাজও বেশি দূর এগোয়নি। রাস্তার দু’ধারেই রয়েছে দখলদারির সমস্যা। অভিযোগ, দীর্ঘ দিন রাস্তা সংস্কারের কোনও কাজ হয়নি।
এই রাস্তা দিয়েই নিয়মিত যাতায়াত করেন মহেশতলা, নুঙ্গি, বাটানগর, বজবজ এবং পুজালি এলাকার বাসিন্দারা। সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা জানান, শুধু তাঁরা নন, কলকাতায় সহজে পৌঁছতে হাওড়ার অনেক এলাকার বাসিন্দাও গঙ্গা পার হয়ে এই রাস্তা ব্যবহার করেন। বিবিটি রোডই পুজালি পুর এলাকা এবং অছিপুরের সঙ্গে তারাতলার সরাসরি যোগাযোগ রক্ষা করছে। |
|
এ ছবি নিত্য দিনের। —নিজস্ব চিত্র। |
সারা দিনই এই রাস্তায় তেলের ট্যাঙ্কার, যাত্রী বোঝাই বাস, অটো, যাতায়াত করে। ফলে রাস্তায় গাড়ির চাপও বেশ ভালই থাকে। বাসিন্দা অমর সেনের কথায়: “রাস্তা পারাপার করতে ভয় করে। অত্যন্ত দুর্ঘটনাপ্রবণ এই রাস্তা। ছোটখাটো দুর্ঘটনা আর যানজটে গলদঘর্ম হওয়া আমাদের রোজকার ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।’’
এই রাস্তায় সবচয়ে বেশি যানজট হয় চড়িয়ালে। চড়িয়াল এলাকায় এক বার যানজটে আটকালে অনেক সময় আধ ঘণ্টার পথ পেরোতে দেড় ঘণ্টা সময় লেগে যায়। নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, এই রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা অত্যন্ত দুর্বল। বিভিন্ন মহলে জানিয়েও এই সমস্যার কোনও
সুরাহা হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা ট্রাফিক বিভাগের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, “ওই রাস্তায় গাড়ির চাপ খুব বেশি। সারা দিনই আমরা নজর রাখি। রাস্তা সঙ্কীর্ণ হওয়ায় সমস্যা হয়।”
রাস্তা সঙ্কীর্ণ হওয়ার কারণ কী? পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই রাস্তার দু’ধারে দখলদারির সমস্যা দীর্ঘ দিনের। ২০১২-য় পূর্ত দফতরের তরফে একটি সমীক্ষা হয় বিবিটি রোড নিয়ে। ওই সমীক্ষায় বলা হয়, এই রাস্তায় গাড়ির চাপ অন্যান্য রাস্তার তুলনায় অনেক বেশি। তাই রাস্তাটির পিচের স্তর আরও উন্নত করা দরকার। এর পরে ওই রাস্তার নীচের মাটিও পরীক্ষা করা হয়। জানা যায় ওই রাস্তার নীচের মাটিও খুব খারাপ অবস্থায় রয়েছে। এই সব কারণে রাস্তাটির সম্প্রসারণেও বাধা। রাস্তাটি পূর্ত দফতরের আলিপুর ডিভিশনের আওতায় রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট বিভাগের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার (দুই) শুভাশিস হালদার বলেন, “বিবিটি রোডের সংস্কারের জন্য আমরা সবিস্তার পরিকল্পনা করেছি। ওই রাস্তার দু’ধার চওড়া করা হবে। রাস্তার পিচের স্তরও বদলানো হবে। ২০১৩-’১৪ আর্থিক বছরের মধ্যেই এই কাজ শেষ করার লক্ষ্যে আমরা এগোচ্ছি।” |
|
|
|
|
|