বিনোদন |
প্রিয়ঙ্কাকে দেখতে তাড়া,
পুলিশের লাঠি দুর্গাপুরে
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
|
|
মাল্টিপ্লেক্সে সিনেমা দেখে ফেরার সময় অনুরাগীদের তাড়ায় কার্যত পালিয়ে হোটেলে ঢুকতে হল অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা চোপড়াকে।
শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। যশরাজ ব্যানারের ‘গুন্ডে’ সিনেমার শ্যুটিং করার জন্য সোমবার প্রিয়ঙ্কা দুর্গাপুরে এসেছেন। অন্যান্য শিল্পীদের সঙ্গে উঠেছেন সিটি সেন্টারের একটি তিনতারা হোটেলে। রানিগঞ্জের কয়লাখনি এলাকায় শ্যুটিং হচ্ছে সিনেমার। শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি হোটেলের ঠিক পাশের একটি শপিং মলের মাল্টিপ্লেক্সে ‘ফাটা পোস্টার নিকলা হিরো’ সিনেমাটি দেখতে যান। রাত ৯টা নাগাদ সিনেমার শো ভাঙে। সন্ধ্যায় ওই শপিং মল চত্বরে একটি বাংলা ব্যান্ডের গানের অনুষ্ঠান ছিল। হঠাৎ খবর ছড়িয়ে পড়ে, প্রিয়ঙ্কা চোপড়া মাল্টিপ্লেক্সে ঢুকেছেন। বহু লোক গিয়ে মাল্টিপ্লেক্সের সামনে ভিড় জমাতে শুরু করেন। |
|
হলের বাইরে বের হতেই প্রিয়ঙ্কাকে ঘিরে ধরেন অনেকে। বাকিরা তাঁর কাছে যাওয়ার জন্য ধস্তাধস্তি শুরু করে দেন। বেগতিক দেখে শপিং মল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে সবাইকে লাঠি উঁচিয়ে হঠিয়ে দিয়ে কোনও রকমে মালপত্র আনা-নেওয়ার লিফট দিয়ে নিচে নামান অভিনেত্রীকে। তাতেও সমস্যা মেটেনি। বেসমেন্টে ততক্ষণে ঢুকে গিয়েছেন অনেকে। অধিকাংশই কলেজ পড়ুয়া। প্রিয়ঙ্কা লিফট থেকে নামতেই শুরু হয় ধস্তাধস্তি। পুলিশ মৃদু লাঠি চালাতে বাধ্য হয়। এরপর পুলিশ ও সঙ্গের নিরাপত্তা কর্মীরা কোনও রকমে প্রিয়ঙ্কাকে গাড়িতে তুলে দেন। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি আয়ত্বে আসেনি। জনতা এরপর ধাওয়া করে তাঁর গাড়ির পিছনে। গাড়ি হোটেলে ঢুকতেই পুলিশ ও নিরাপত্তা কর্মীদের বাধা এড়িয়ে জনতা ঢুকে পড়েন হোটেলের চত্বরে। তাদের চাপাচাপিতে হোটেলের কাচের দেওয়ালের কিছুটা ভেঙে পড়ে। পুলিশ ফের লাঠি চালায়। বিশ্বজিৎ লায়েক নামে এক কলেজ পড়ুয়া জখম হয় বলে অভিযোগ। কিছুক্ষণ পরে ধীরে ধীরে ফাঁকা হয়ে যায় এলাকা। পুলিশ অবশ্য লাঠি চালানোর কথা স্বীকার করেনি।
|
—নিজস্ব চিত্র। |
|