এক যুব তৃণমূল নেতা ও তাঁর অনুগামীরা মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় যাওয়ার পথ আটকে দাঁড়িয়ে থাকায় বর্ধমানের পুলিশ সুপারের কৈফিয়ত তলব করল গোয়েন্দা দফতর।
ওই নেতা, বর্ধমান শহর যুব তৃণমূল সভাপতি খোকন দাস আজ, শনিবার বর্ধমান পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। শুক্রবার রাত পর্যন্ত পুলিশ তাঁকে ধরেনি। তবে সতর্ক করা হয়েছে বলে জেলা পুলিশ সূত্রের খবর।
বৃহস্পতিবার পানাগড়ে সভা সেরে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে ধরে কলকাতায় ফিরছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের আগে তাঁর ‘আশীর্বাদ’ নিতে রাস্তায় সদলবলে দাঁড়িয়েছিলেন খোকনবাবু। রাস্তার অর্ধেক দখল হয়ে গিয়েছে দেখে এসপি সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা এবং এসডিপিও (বর্ধমান) অম্লানকুসুম ঘোষ তাঁদের সরতে বলেন। খোকন দাস সরলেও তাঁর অনুগামীরা সরেননি। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় এসে পড়ে। ভিড় এড়াতে বাইপাসের উল্টো লেনে বিপরীতমুখী ট্রাক ও অন্য গাড়ির এক পাশ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় বার নিয়ে যেতে বাধ্য হয় পুলিশ।
শুক্রবার সকালেই গোয়েন্দা দফতর থেকে এসপি-র কাছে কৈফিয়ত চেয়ে পাঠানো হয়। এসপি চিঠি পাঠিয়েছেন। তৃণমূল নেতা মুকুল রায়কেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। বর্ধমান পুরসভার বিদায়ী বিরোধী দলনেতা, তৃণমূলের সমীর রায় বলেন, “খোকন কেন এমন করল, বুঝতে পারছি না। তবে এটি অপরাধ।”
খোকনবাবুর কৈফিয়ত, “দিদি বর্ধমানের উপর দিয়ে গেলেই আমি রাস্তায় দাঁড়াই। ভোটের মাত্র দু’দিন আগে দিদিকে দেখতে পেলে আমার ও কর্মীদের মনোবল বাড়ত। আমরা দিদির কাছে আশীর্বাদ চাইতাম। তাতে যে এত কাণ্ড হবে বুঝিনি।” সিপিএম নেতা তাপস সরকারের মন্তব্য, “এ কাজ এক মাত্র উন্মাদেরাই করতে পারে।” রাতে মুকুল রায় বলেন, “আবেগের বশেই ঘটনাটা ঘটেছে বলে শুনেছি। তবে যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা জড়িত, সেখানে আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত ছিল।” |