সিপিআইয়ের শ্রমিক সংগঠন এআইটিইউসির (আইটাক) ২৫ তম রাজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে খড়্গপুরে। আগামী ২১ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর। বিভিন্ন জেলার প্রায় ৯০০ জন প্রতিনিধি এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন। সম্মেলন উপলক্ষে ২১ সেপ্টেম্বর এক প্রকাশ্য সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। উপস্থিত থাকবেন সংগঠনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ গুরুদাশ দাশগুপ্ত, এআইটিইউসির রাজ্য সম্পাদক রণজিৎ গুহ, মেদিনীপুরের সাংসদ প্রবোধ পাণ্ডা, সিপিআইয়ের জেলা সম্পাদক সন্তোষ রাণা, এআইটিইউসির জেলা সম্পাদক প্রদীপ মৈত্র প্রমুখ। সম্মেলন সফল করতে ইতিমধ্যে প্রস্তুতি নিয়েছেন সংগঠনের নেতৃত্ব। গঠন করা হয়েছে অভ্যর্থনা কমিটি। অভ্যর্থনা কমিটির সম্পাদক বিপ্লব ভট্ট বলেন, “বিভিন্ন এলাকায় প্রচার চলছে। সম্মেলন শুরুর আগে ২১ তারিখ দুপুরে প্রকাশ্য সমাবেশ হবে। সমাবেশে যোগ দিতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংগঠনের কর্মী-সমর্থকেরা আসবেন।” প্রকাশ্য সমাবেশ হবে গিরি ময়দান এলাকায়। সমাবেশ শুরু দুপুর ২ টোয়। সম্মেলন হবে মালঞ্চর এক সভাঘরে। সম্মেলন শুরু বিকেল ৫ টায়। তিন দিনের রাজ্য সম্মেলন উপলক্ষে ইতিমধ্যে রেলশহর খড়্গপুরের বিভিন্ন এলাকা লাল পতাকায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। কয়েকটি তোরণ তৈরি করা হয়েছে।
|
রাজ্যের ১২টি পুরসভায় কাল, শনিবারের নির্বাচনে প্রতিটি বুথে দু’জন সশস্ত্র পুলিশ রাখার ব্যবস্থা হচ্ছে। তা সত্ত্বেও পুর নির্বাচনে হিংসার আশঙ্কা করছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কর্তারা। কমিশনের সচিব তাপস রায় বৃহস্পতিবার বলেন, “প্রতিটি বুথের নিরাপত্তায় কমপক্ষে দু’জন সশস্ত্র পুলিশ রাখার ব্যবস্থা হলেও আমরা বর্ধমান, চাকদহ, হাবরা এবং পানিহাটি পুরসভা নিয়ে উদ্বিগ্ন।” কমিশনের কর্তারা জানান, পুরভোটের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে রাজ্য সরকারের কাছে একাধিক বার চিঠি পাঠানো হয়েছিল। রাজ্যের তরফে কোনও জবাব মেলেনি। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় থাকা ইএফআর কিংবা বিএসএফের মতো আধা-সামরিক বাহিনীও পাওয়া যাচ্ছে না পুরভোটে। তা নিয়ে কমিশনের আধিকারিকেরা এ দিন ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এই পরিস্থিতিতে কালকের ভোটে যথাসম্ভব জোরদার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনকে ফের বিশেষ নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, ১২টি পুরসভার মোট ২৪৪টি ওয়ার্ডে বহুমুখী লড়াই হচ্ছে। তৃণমূল, বামফ্রন্ট, কংগ্রেস, বিজেপি, জনতা দল ইউনাইটেড, সিপিআই (এমএল) লিবারেশন এবং নির্দল-সহ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৮৬৬ জন প্রার্থী। ভোটার প্রায় সাড়ে আট লক্ষ। ভোটগ্রহণ হবে ১০৭৯টি বুথে। বুথের নিরাপত্তা, সেক্টর অফিস এবং ভ্রাম্যমাণ নজরদারির ব্যবস্থার সঙ্গে সঙ্গে মোতায়েন থাকবে হাজার ছয়েক সশস্ত্র পুলিশ। থাকছেন আরও হাজার পাঁচেক লাঠিধারি পুলিশকর্মী। মোতায়েন করা হচ্ছে মহিলা পুলিশও।
|
রাজ্যে ভোটার তালিকায় নাম তোলার মেয়াদ আরও সাত দিন বাড়াল নির্বাচন কমিশন। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী নাম তোলার শেষ দিন ছিল ২৩ সেপ্টেম্বর। তা বাড়িয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর করা হয়েছে। চুড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ২০১৪ সালের ৬ জানুয়ারি। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের দফতরের এক কর্তা বৃহস্পতিবার জানান, যাঁরা ভোটার তালিকায় নাম তুলতে চান, তাঁদের সুবিধার জন্য রাজ্যের প্রতিটি বুথে সপ্তাহের প্রতিদিনই অফিসারেরা হাজির থাকবেন। ভোটার তালিকায় নাম তোলা ছাড়াও সচিত্র পরিচয়পত্রের ত্রুটি সংশোধনের আবেদন জানানো যাবে সেখানে। ভোটার তালিকায় নাম তোলা এবং ভোট প্রক্রিয়া সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে পুজোয় প্রচারে নামছে কমিশন। শহর ও গ্রামের যে-কোনও পুজো কমিটি এই প্রচারের কাজে যোগ দিতে পারে। যে-সব পুজো কমিটি সাধারণ মানুষের কাছে ভোট প্রক্রিয়া সম্পর্কে আকর্ষক তথ্য তুলে ধরতে পারবে, তাদের পুরস্কৃত করা হবে।
|
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং বেহাল রাস্তা মেরামতের দাবিতে রাজ্য জুড়ে পথ অবরোধের ডাক দিল ডিওয়াইএফআই। আগামী সোমবার বেলা ১১টা থেকে ওই অবরোধ হবে। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক জামির মোল্লা জানান, পুলিশ অবরোধকারীদের তুলে না-দেওয়া পর্যন্ত তাঁরা রাস্তাতেই থাকবেন। পাশাপাশি, চুক্তিতে শিক্ষক নিয়োগ এবং পুনর্নিয়োগের প্রতিবাদে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর জেলা পরিদর্শকদের দফতরগুলি ঘেরাও করার কর্মসূচিও নিয়েছে তারা। |