|
|
|
|
সিপি-টিএমসিপি বিবাদ |
এ বার হাতাহাতি খড়্গপুর কলেজে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
সবংয়ের পর এ বার খড়্গপুর কলেজে সংঘর্ষ বাধল ছাত্র পরিষদ (সিপি) ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি)। বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় সিপির তিন জন জখম হয়েছে বলে সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়েছে। তবে কেউই হাসপাতালে ভর্তি হয়নি।
খড়্গপুর কলেজে গত ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সিপি, টিএমসিপি এবং এসএফআইয়ের কেউই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ত্রিশঙ্কু ছাত্র সংসদে লটারির মাধ্যমে সাধারণ সম্পাদক বাছাই করা হয়। এই পরিস্থিতিতে প্রতিটি ছাত্র সংগঠনই নিজেদের প্রভাব বজায় রাখতে চাইছে এবং তার জেরেই গোলমাল হচ্ছে বলে খবর। কয়েকদিন ধরে টিএমসিপির দু’জন ছাত্র সিপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ। আবার সিপির নতুন বর্ষের পড়ুয়াদের অনেকেই টিএমসিপি ঘনিষ্ঠ হওয়ায় সিপি চোখ রাঙাচ্ছে বলে অভিযোগ।
এ দিন কলেজের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। তবে বাস ধর্মঘটের জন্য তা হয়নি। সিপির কয়েকজন সদস্য অধ্যক্ষের কাছে বিষয়টি জানতে যায়। এর পর গেটের কাছে এসে তারা বসে ছিল। সেখানেই ছিল টিএমসিপির কিছু ছাত্র। হঠাৎই দু’পক্ষের বচসা বাধে। দু’পক্ষের সমর্থনে বহিরাগতরাও হাজির হয়ে যায়। বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। সিপির অভিযোগ, টিএমসিপির বহিরাগতরাই আগে হামলা চালিয়েছে। খড়্গপুর কলেজে সিপির ইউনিট সভাপতি রাজেশ ভট্টাচার্যের অভিযোগ, “টিএমসিপির দুই ছাত্র আমাদের সঙ্গে কাজ করায় ওরা মেনে নিতে পারছে না। তাই বহিরাগত টিএমসিপি নেতা রাজা সরকারের নেতৃত্বে রিন্টু ঘোষরা আমাদের মারধর করেছে।” টিএমসিপির শহর সহ-সভাপতি সোমনাথ দাসের পাল্টা অভিযোগ, “সিপি-র রাজেশ ভট্টাচার্য প্রতিদিনই আমাদের রিন্টু ঘোষকে হুমকি দেয়। এ দিন হাত ধরে মারতে গেলে রিন্টু প্রতিবাদ করে। সেই সময় সিপির বহিরাগত অমিত পাণ্ডেরা এসে আমাদের ছেলেদের উপর চড়াও হয়।” কলেজে বহিরাগতের প্রবেশ প্রসঙ্গে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অচিন্ত্য চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমি কলেজে থাকাকালীন গেটের বাইরে সামান্য গণ্ডগোল হচ্ছিল। আমি গিয়ে বলায় ওরা চলে যায়। তবে বহিরাগত প্রবেশের বিষয়ে আমি কড়া পদক্ষেপ করব।”
বৃদ্ধার আত্মহত্যা। বৃহস্পতিবার এক বৃদ্ধার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল ঝাড়গ্রামের মানিকপাড়ায়। মৃত গীতারানি বিশুই (৭৪) জরায়ুর ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। মাস আটেক আগে তাঁর স্বামী মারা যান। মানিকপাড়ার গদিমোড় এলাকায় দুই ছেলে ও বৌমার সঙ্গে থাকতেন গীতারানিদেবী। বুধবার রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে ঘুমোতে যান ওই বৃদ্ধা। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি দরজা না খোলায় সন্দেহ হয় পরিজনদের। ডাকাডাকি করেও তাঁর সাড়া মেলেনি। দরজা ভেঙে দেখা যায় ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় নাইলন দড়ির ফাঁসে গীতারানিদেবীর দেহ ঝুলছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ঘর থেকে মেলে গীতারানিদেবীর নিজের হাতে লেখা চার পাতার সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। মৃত্যুর জন্য কাউকেই দায়ী করেননি ওই বৃদ্ধা। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, অসুস্থতার কারণে মানসিক অবসাদের জেরেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন। |
|
|
|
|
|