এল কাছে |
পুজোর পাতে ‘ডন’ আসছে শহরে
বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য • শিলিগুড়ি |
|
|
‘ডন’ আসছে শিলিগুড়ির পুজোর বাজারে। থাকবে দুই নায়ক ‘সামার কিং’, ‘মার্বেল’। অমিতাভ বা শাহরুখ খান নন, এ ‘ডন’ হল উষ্ণ পরিবেশের সঙ্গে মানানসই ফুলকপির প্রজাতির নাম। পুজো মণ্ডপ থেকে গৃহস্থের হেঁসেল, সর্বত্র যা পৌঁছে যাবে পুজোর আগেই। ভোজনরসিকদের অনেকেই যা সুখবর বলে বলে মনে করছেন। কৃষি দফতর জানাচ্ছে, দেবীপক্ষ শুরুর দুদিন পরেই তা শিলিগুড়ির বাজারে আনার চেষ্টা হচ্ছে। শিলিগুড়ি মহকুমা কৃষি আধিকারিক তুষারকান্তি ভূষণ বলেন, উৎসবের দিনে খাবারের পাতে নিরাপদ সবজি পরিবেশন এবং চাষিদের বাড়তি রোজগারের ব্যবস্থা করার কথা গোড়া থেকে মাথায় রাখা হয়েছে। সে জন্য ওই বিশেষ প্রজাতির ফুলকপির চাষে উৎসাহ দেওয়া হয়। চাষ ঠিক হচ্ছে কি না সেই ব্যাপারে নিয়মিত নজরদারি চালানো হয়েছে।”
বাজারে এখন সারা বছর ফুলকপি মেলে? নতুন কী ব্যাপার? কৃষি কর্তারা জানান, বাজারে যে ফুলকপি মিলছে, তা নেপালের। নেতিয়ে পড়া চেহারা। আকারেও আকর্ষণীয় নয়। সে তুলনায় শিলিগুড়ি মহকুমায় যে ফুলকপির চাষ হয়েছে তা দেখতে যেমন তাজা, আকারেও বড়। স্বাদেও অতুলনীয় হবে বলে কৃষি দফতরের দাবি। ঠাসা আনাজপাতির মধ্যে কেমন করে তা বোঝা যাবে? কৃষি কর্তারা জানান, ‘ডন’ ‘সামার কিং’ ‘মার্বেল’-এর রং ‘ক্রিম হোয়াইট’। ফুলের সুন্দর আকার দেখে চিনতে সমস্যা হবে না।
শিশির না-পড়তে অসময়ের ওই কপি কীটনাশকে বিষাক্ত হবে না তো? পাতে নিলে গ্যাস, অম্বল হবে না তো? কৃষি দফতরের ফাঁসিদেওয়া ও খড়িবাড়ি ব্লক আধিকারিক মেহফুজ আহমেদ বলছেন, “ফুলকপি বিষমুক্ত। চাষিদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে ‘ইকো ফ্রেন্ডলি’ পদ্ধতিতে চাষ করা হয়েছে। ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। পুষ্টিগুণ, স্বাদে হেরফের হওয়ার কথা নয়।”
কোথায় চাষ হয়েছে? খড়িবাড়ি ও ফাঁসিদেওয়ায় ২৫ হেক্টর জমিতে এ বার ফুলকপির চাষ হয়েছে। শিলিগুড়ি মহকুমার টামবাড়ি, জ্যোতিনগর, খুনিয়াপোখরি, গোবর সিংহ জোত, শৈলানি জোত এলাকায় ওই সবজি উৎপাদন হয়েছে। কপির ফুল দেখা দিয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে ওজনে ৪০০-৫০০ গ্রাম হয়ে যাবে। প্রায় ১৫ হেক্টর জমিতে পুরোপুরি জৈব পদ্ধতি মেনে চাষ করা ফুলকপি। তাও পুজোর বাজারে আসবে। ওই সবজি কিনতে বেশিই খরচ করতে হবে। পরিবেশ-পরিস্থিতি ঠিক থাকলে জৈব পদ্ধতিতে চাষ করা পালং শাক, ধনে পাতাও মিলবে দেবী পক্ষের গোড়ায়।
|