বিশ্বকর্মা পুজোর রাতে বাড়ির সামনে মদ্যপ কিছু যুবক অশালীন আচরণ করছিল। প্রতিবাদ করেন গৃহকর্তা। যুবকেরা তাঁকে বাড়ি থেকে টেনে বের করে বেধড়ক মারধর করে। স্ত্রী ও কিশোরী মেয়েকেও পেটায়। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির চুঁচুড়ার তোলাফটকের আনন্দপল্লিতে। বিমল হাজরা নামে ওই ব্যক্তিকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি। অভিযুক্তরা পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বিমলবাবু জানান, বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে তাঁর বাড়ির সামনে এলাকারই ৭-৮ জন যুবক খানাপিনা করছিল। মদ্যপ অবস্থায় চলছিল চিৎকার-চেঁচামিচি। চটুল ভঙ্গিতে নাচানাচিও হচ্ছিল। মাঝে মধ্যেই ভেসে আসছিল গালিগালাজ। রাত ৮টা নাগাদ বাড়ির বাইরে এসে সে সবের প্রতিবাদ করেন বিমলবাবু। তখনকার মতো ফিরে যায় যুবকেরা। ঘণ্টাখানেক বাদে ফিরে এসে বাড়িতে ঢুকে পড়ে টেনে-হিঁচড়ে তাঁকে বের করে রাস্তায়। অভিযোগ, বেধড়ক পেটানো হয় বিমলবাবুকে। স্ত্রী সোমা এবং মেয়ে স্বাতীকেও রেয়াত করেনি হামলাকারীরা। ষষ্ঠ শ্রেণির কিশোরী স্বাতীর গালে চড় কষিয়ে দেয়। ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয় তাকে। সোমাদেবীকেও ধাক্কাধাক্কি করা হয় বলে অভিযোগ। পড়শিরা বেরিয়ে এলে হামলাকারীরা পালায়।
বিমলবাবু এ দিন বলেন, “অত্যন্ত কুৎসিত আচরণ করছিল ছেলেগুলো। তাই নিষেধ করেছিলাম। এ ভাবে খেসারত দিতে হবে ভাবিনি।” তদন্তকারী এক অফিসার জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা গিয়েছে। তাদের ধরতে তল্লাশি চলছে।
মঙ্গলবার রাতে অন্য একটি ঘটনায়, মদ্যপদের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর থানার বামনগাছির এক দম্পতি। অভিযোগ, স্থানীয় এক তৃণমূল নেতাই ওই ঘটনায় মদত দিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে কাজ শেষে বামনগাছির শরৎপল্লির বাড়িতে ফিরছিলেন মধুসূদন ঘোষ। বাড়ির পাশেই তাঁর বেকারির ব্যবসা। অভিযোগ, প্রণব রায় নামে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা ও তাঁর সঙ্গীরা মধুসূদনবাবুর বাড়ির কাছেই বসে মদ্যপান করছিলেন। প্রতিবাদ করায় গালিগালাজ করা হয় ওই ব্যবসায়ীকে। স্থানীয় একটি ক্লাবের লোকজনকে সে কথা জানান মধুসূদনবাবু।
অভিযোগ, এর কিছু ক্ষণের মধ্যেই প্রণববাবুর নেতৃত্বে বাড়িতে মধুসূদনের বাড়িতে চড়াও হয় কয়েক জন। বাড়ি ও কারখানায় ভাঙচুর চালায়। নগদ কিছু টাকা লুঠ করে। বাধা দিতে গেলে মারধর করা হয় মধূসূদনবাবু ও তাঁর স্ত্রী ঝর্ণাদেবীকে। তাঁরা বাড়ি থেকে পালিয়ে বুধবার ভোরে দত্তপুকুর থানায় অভিযোগ জানান। প্রণববাবুর সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। ছোটজাগুলিয়া পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান নুরুল হক বলেন, “প্রণববাবু আমাদের দলীয় কর্মী। পুরনো বিবাদের জেরেই এই ঘটনা বলে জেনেছি। পুলিশ তদন্ত করছে।” |