বৃষ্টির মধ্যেই একটি স্কুলে বাজ পড়ায় জখম হল ৪৭ জন পড়ুয়া। বুধবার দুপুরে হুড়া থানা এলাকার সরচাকলতা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা। আহতদের মধ্যে ১২ জনকে হুড়া গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে। এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাকে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ দিন দুপুরে ইঁদপুরের হিতাশী গ্রামে মাঠে গরু চড়াতে গিয়ে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয় দু’জনের। মৃতেরা হলেন ওই গ্রামের লখীন্দর বাউড়ি (৫০) ও হিমাংশু লায়েক (৫২)। |
চলছে চিকিৎসা।—নিজস্ব চিত্র। |
স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন সরচাকলতা প্রাথমিক স্কুলে পড়াশোনা চলছিল। তখনই বৃষ্টি নামে। বাজ পড়ে স্কুলের দেওয়াল ফেটে যায়। শিক্ষক উজ্জ্বল গোস্বামী বলেন, “বৃষ্টির মধ্যে মাঝে মাঝেই বাজ পড়ছিল। আচমকা প্রবল জোরে শব্দ ও ক্লাসের ভিতরে তীব্র আলোর ঝলকানি। মনে হচ্ছিল স্কুলবাড়িটাই যেন ভেঙে পড়বে!” সাময়িক হতভম্ব অবস্থা কাটিয়ে ওঠার পরে দেখা যায় বেশ কয়েক জন ছাত্র-ছাত্রী কথা বলতে পারছে না। ক্লাসের এদিক-ওদিক ছিটকে পড়েছে আরও অনেক পড়ুয়া। বাসিন্দাদের সাহায্যে সকলকেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পৌঁছন হুড়া ১ চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সমীর কর। ঘন ঘন বমি করা ও মুখ দিয়ে গোঙানির মতো শব্দ বেরোনোয় ১২ জন ছাত্রছাত্রীকে ভর্তি করে নেওয়া হয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। হুড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি প্রথম শ্রেণির ছাত্র অভিরাম মাহাতো, দ্বিতীয় শ্রেণীর লক্ষ্মণ মাহাতোর কথায়, “জানলা দিয়ে বৃষ্টি দেখছিলাম। তার পরে প্রচণ্ড জোরে আওয়াজ ও বিদ্যুতের আলো। আর কিছু মনে নেই।” সমীরবাবু বলেন, “স্কুলে বাজ নিরোধক ব্যবস্থা করা যায় কি না ভাবা হবে।” |