জলের তোড়ে ধস নামায় তলিয়ে গেল রায়মঙ্গল নদীর একটি ফেরিঘাট। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জের যোগেশগঞ্জ পঞ্চায়েতের সর্দারপাড়ায়। শুধু ফেরিঘাটই নয়, তলিয়ে গিয়েছে ফেরিঘাট লাগোয়া একটি দোকান, নদী লাগোয়া রাস্তায় রাখা বেশ কিছু বিদ্যুতের খুঁটি, ইটের ব্লক। দেড়শো ফুট লম্বা ও একশো ফুট চওড়া নদীর পাড়ের একাংশও তলিয়ে গিয়েছে। একই সঙ্গে ধসের কারণে ফেরিঘাটের সঙ্গে যোগাযোগের রাস্তায় দেড়শো ফুট লম্বা ও পঞ্চাশ ফুট চওড়া অংশে ফাটল দেখা দেওয়ায় স্থানীয় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তাঁদের আশঙ্কা, পূর্ণিমার ভরা জোয়ারে সুন্দরবন লাগোয়া এই দীতে যে ভাবে জল বাড়ছে তাতে যে কোনও সময় ফাটল ধরা অংশ ধসে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হবে।
ব্লক প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুন্দরবন লাগোয়া যোগেশগঞ্জের সর্দারপাড়া ভাঙন এলাকা হিসাবে চিহ্নিত। প্রায় প্রতি বছর এলাকার কোনও না কোনও অংশে নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় জনবসতি। বিশেষ করে ফেরিঘাট সংলগ্ন এলাকা গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এ বার ভাঙনের প্রাবল্য বেশি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ দিন রাত তিনটে নাগাদ হঠাৎই হুড়মুড় করে নদীর পাড়ের একটি বিরাট অংশ ফেরিঘাট দোকান, বিদ্যুতের খুঁটি নদীগর্ভে তলিয়ে যায়। পাশাপাশি বাঁধ লাগোয়া এলাকার একটি বিরাট অংশ জুড়ে যে ফাটল দেখা দিয়েছে তাতে ওই অংশ নদীগর্ভে তলিয়ে গেলে সদার্রপাড়া, পাটঘরা, মাধবকাটি গ্রাম-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পঞ্চায়েত এবং ব্লক অফিস সূত্রে খবর থেকে বাঁধ মেরামতির তোড়জোড় শুরু হলেও নদীতে জল বেড়ে যাওয়ায় মাটি ফেলার কাজ করা যাচ্ছে না।
হিঙ্গলগঞ্জের বিডিও বিশ্বজিৎ বসু বলেন, ‘‘সর্দারপাড়ায় রায়মঙ্গলের বাঁধ রক্ষার জন্য ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও লোক পাঠানো হয়েছে।” |