এক দিকে টানা বৃষ্টির জেরে জল জমেছে হাঁটু সমান। অন্যদিকে, নিকাশির উপযুক্ত ব্যবস্থা না থাকায় সেই জমা জল সরার উপায় নেই। এই পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতার নবাসন তুষ্টুচরণ হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, স্কুলে যাতায়াতের রাস্তায় ও খেলার মাঠে জল জমায় পঠনপাঠনে বিঘ্ন ঘটছে।
গত মাসের তৃতীয় সপ্তাহে দিন দুয়েকের টানা বৃষ্টিতে ফলতা ব্লকের কয়েকটি পঞ্চায়েত এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। ডুবে যায় রাস্তাঘাট, চাষের জমি। ক্ষতি হয় ঘর-বাড়ির। পানীয় জলের নলকূপ, খেলার মাঠও ডুবে যায়। জল ঢোকে নপুকুরিয়া পঞ্চায়েতের অন্তর্গত এই স্কুলেও। জলমগ্ন এলাকার মানুষের জন্য ত্রাণশিবিরও খোলা হয়েছিল। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, তার পরে প্রায় কুড়ি দিন কেটে গিয়েছে কিন্তু জল সরার কোনও লক্ষণই নেই। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন জমা জলের কারণে স্কুলে আসা যাওয়া ও পঠন পাঠনে প্রচণ্ড সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। |
বর্তমানে স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ১৪০০। প্রাথমিক বিভাগে রয়েছে শ’দেড়েক পড়ুয়া। রোজ অনেকটা পথ হাঁটুজল ভেঙে ছাত্রছাত্রীদের পৌঁছতে হচ্ছে স্কুলে। পড়ুয়াদের অভিযোগ, এ ভাবে যাওয়াআসা করতে গিয়ে জামাকাপড় ভিজে যাচ্ছে। মাঝেমধ্যে পড়ে গিয়ে চোটআঘাতও লাগছে। জলে ভিজে বই-পত্র নষ্ট হচ্ছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সলিলকুমার পানি বলেন, “এই অবস্থায় প্রায় এক সপ্তাহ স্কুলে ছুটি দিতে বাধ্য হয়েছি। তা ছাড়া পড়ুয়াদের নিরাপত্তাও দেখতে হচ্ছে। স্কুলে সাপ ঢুকছে। তবে এই ভাবেই স্কুল চালাতে হচ্ছে। জমা জলের জন্য উচ্চ মাধ্যমিকের প্রিটেস্ট পরীক্ষা এক বার পিছোনো হয়েছিল। কিন্তু এখন এই অবস্থাতেই পরীক্ষা নিতে হচ্ছে।”
সেচ দফতরের ডায়মন্ড হারবার মহকুমার সহকারী বাস্তুকার প্রদীপ হালদার বলেন, “ওই এলাকা থেকে জল না সরার প্রধান কারণ সুষ্ঠু নিকাশির অভাব। এ জন্য ওই এলাকার খালগুলির কী অবস্থা তা খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। তবে চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে দ্রুত জল সরে যায়।” |