|
|
|
|
ঝাড়খণ্ডে নেতাদের সুরক্ষায় ২৪টি জেলায় নিরাপত্তা সেল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
ছত্তীসগঢ়ে কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের উপর মাওবাদী হামলার প্রেক্ষিতে ঝাড়খণ্ডের জনপ্রতিনিধিদের নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে চাইছে রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসন।
রাজ্য পুলিশ জানিয়েছে, নেতা-মন্ত্রীদের সুরক্ষায় ২৪টি জেলায় বিশেষ নিরাপত্তা ‘সেল’ খোলা হচ্ছে। সেখান থেকেই সংশ্লিষ্ট জেলার রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের প্রতিদিনের কর্মসূচির খোঁজখবর রাখবে পুলিশ। সেই অনুযায়ী তাঁদের নিরাপত্তারও ব্যবস্থা করা হবে। রাজ্য পুলিশের ডিআইজি (স্পেশাল ব্রাঞ্চ) ওই বিশেষ নিরাপত্তা বিভাগের দায়িত্বে থাকবেন।
ছত্তীসগঢ়ের মতো ঘটনা না-ঘটলেও ঝাড়খণ্ডে রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক ব্যক্তিরা একাধিকবার মাওবাদী হামলার মুখে পড়েছেন। জুলাই মাসে পাকুড়ের পুলিশ সুপার অমরজিৎ বলিহার মাওবাদীদের গুলিতে প্রকাশ্য রাস্তায় খুন হন। নির্দল সাংসদ ইন্দর সিংহ নামধারীর কনভয়ের ওপরেও বছর দু’য়েক আগে মাওবাদীরা হামলা করেছিল। ওই ঘটনায় নামধারীর নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু হয়। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী বৈজনাথ রামকে তাঁর কেন্দ্র লাতেহারের মনিকায় ধাওয়া করেছিল মাওবাদীরা।
পুলিশ সূত্রের খবর, রাজ্য বিজেপি সভাপতি রবীন্দ্র রাই, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন মুণ্ডা, বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশের মতো নেতারা এ রাজ্যের মাওবাদীদের ‘হিটলিস্টে’ রয়েছেন। রাজ্য পুলিশের কর্তারা জানান, মাওবাদীদের আতঙ্কে নেতারা অনেক সময় তাঁদের নিজেদের কেন্দ্রে যেতেই সাহস পান না। এটা গণতন্ত্রের পক্ষে ক্ষতিকর। জনপ্রতিনিধিরা তাঁদের কেন্দ্রে যেতে না-পারলে সেখানকার মানুষ সমস্যায় পড়বেন। সে দিকে তাকিয়েই জনপ্রতিনিধিদের সুরক্ষা আরও জোরদার করা হচ্ছে। রাজ্য পুলিশের এডিজি সত্যনারায়ণ প্রধান জানান, ছত্তীসগঢ়ের ঘটনার পরে এ রাজ্যের জনপ্রতিনিধিদের নিরাপত্তার বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তিনি বলেন, “জননেতারা অনেক সময় পুলিশকে না-জানিয়ে বিভিন্ন জায়গায় যান। এ বার থেকে জেলার নিরাপত্তা ‘সেল’ থেকে জনপ্রতিনিধিদের কর্মসূচি জানতে চাওয়া হবে। তাঁর যাত্রাপথে বিপদের ঝুঁকি থাকলে পুলিশ অনুমতি দেবে না। তাঁর কর্মসূচি বাতিল করার অনুরোধ করা হবে।” |
|
|
|
|
|