|
|
|
|
বিহারে ৩৩টি জেলা খরার কবলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
বিহারে ৩৩টি জেলাকে খরা-কবলিত বলে ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সরকার জানিয়েছে, বাকি পাঁচটি জেলাকে আপাতত পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
প্রশাসনিক সূত্রে জানানো হয়েছে, সরকারি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, জুলাই-অগস্ট মাসের খারিফ ফসলের মরসুমে ৩৭ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে। কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা অনুযায়ী, ন্যুনতম ২০ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি থাকলে খরা ঘোষণা করা যায়। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এ সংক্রান্ত রিপোর্ট পাঠাচ্ছে রাজ্য। প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় রাজ্যের তহবিলে (স্টেট ডিজাস্টাররেসপন্স ফান্ড) ৭৫ শতাংশ অর্থ দেয় কেন্দ্র। প্রাথমিকভাবে ওই তহবিল থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের অনুদান দেওয়ার কথা ভাবছে রাজ্য সরকার। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের মাধ্যমে তাঁদের পাশে দাঁড়ানো যায় কি না, তা-ও দেখা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সাহায্য পাওয়ার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে নীতীশ সরকার।
রাজ্যের যে পাঁচটি জেলাকে খরা-কবলিত বলে ঘোষণা করা হয়নি সে গুলি হল, অরওয়াল, রোহতাস, বাঁকা, কিষাণগঞ্জ, আরারিয়া। রাজ্যের প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের প্রধান সচিব বিয়াসজি বলেন, “২০১০ সালে ১০টি জেলাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। তারপর সে গুলিকেও খরা-কবলিত বলে ঘোষণা করা হয়। এ বারও পাঁচটি জেলাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।” আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, ওই জেলাগুলির মধ্যে কিষাণগঞ্জে স্বাভাবিকের তুলনায় ৩৮ শতাংশ, আরারিয়াতে ১৫ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। অরওয়ালে স্বাভাবিকের তুলনায় ৮ শতাংশ, রোহতাসে ৬ এবং বাঁকায় ২ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে।
বিয়াসজি আরও জানিয়েছেন, খরা-কবলিত ৩৩টি জেলার রিপোর্ট কেন্দ্রের কাছে পাঠানো হবে। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখে রিপোর্ট দেবে। তার পরই কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তার আগে রাজ্য সরকারই ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রাথমিকভাবে ত্রাণের ব্যবস্থা করবে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ২৯ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি আছে। কোনও কোনও জেলায় ৫০%-রও কম বৃষ্টি হয়েছে। দফতরের অধিকর্তা আশিস সেন বলেন, “এ রকম চলতে থাকলে রবি ফসলের মরসুমেও প্রভাব পড়বে। তাতে আরও শস্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকছে।” |
|
|
|
|
|