|
|
|
|
পরোয়ানা সত্ত্বেও সংঘর্ষে অভিযুক্ত নেতারা অধরাই |
সংবাদসংস্থা • মুজফ্ফরনগর |
তাঁদের নামে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। কিন্তু গ্রেফতার করা হয়নি কাউকেই। উল্টে বিভিন্ন প্রকাশ্য সমাবেশ বা বিধানসভার অধিবেশনেও যোগ দিচ্ছেন তাঁরা। চ্যালেঞ্জ করছেন, গ্রেফতার করে দেখাক পুলিশ।
তাঁদের মধ্যে কেউ বিধায়ক, কেউ বা সাংসদ। মুজফ্ফরনগরের গোষ্ঠী সংঘর্ষে অভিযুক্ত প্রত্যেকেই। ওই সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৫০ জনের। আশ্রয়হীন ৪০ হাজার মানুষ। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, উত্তেজনা ছড়ানোর অভিযোগে যে ন’জন রাজনৈতিক নেতার নাম জড়িয়েছে, তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। কিন্তু এখনও কোনও নেতাকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। বরং গ্রেফতার করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে পুলিশকে। তবে পুলিশের দাবি, দু’দিনের মধ্যে ধরা হবে সব নেতাকে।
অভিযুক্ত নেতাদের মধ্যে ৫ জনই কিন্তু বুধবার বিধানসভায় উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে ছিলেন বিজেপি নেতা সঙ্গীত সোম। অভিযোগ, গোষ্ঠী সংঘর্ষের আগে তিনি একটি জাল ভিডিও অনলাইনে প্রচার করেছিলেন। যা থেকে আরও উত্তেজনা ছড়ায় বলে দাবি। তিনি কি জানেন পুলিশ তাঁকে খুঁজছে? সঙ্গীত বলেন, “আমি নিজের এলাকাতেই আছি। কোথায় পুলিশ? যদি ওদের কাছে প্রমাণ থাকে, গ্রেফতার করুক আমায়।”
সঙ্গীতের সঙ্গে ছিলেন সহ-সভাপতি উমা ভারতী এবং বিজেপি-র আরও কয়েক জন সদস্য। সঙ্গীতকে গ্রেফতার করতে গেলে বিধানসভার বাইরে উত্তেজনা ছড়ায়। প্রতিবাদে সামিল হন বিজেপি বিধায়করা। তাঁদের নেত্রী উমা ভারতী রীতিমতো হুমকি দিয়ে বলেন, “আমাদের কোনও বিধায়ক গ্রেফতারে বাধা দেবেন না। কিন্তু এতে আবার যদি পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে ওঠে, তা জন্য দায়ী থাকবে অখিশের সরকার।” উমার অভিযোগ, “অখিলেশ বলেছিলেন কাউকে গ্রেফতারের আগে ঠিকমতো তদন্ত করা হবে। তা না করেই কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে?”
পুলিশ খুঁজছে মুজফ্ফরনগরের সাংসদ কাদির রানাকেও। বিএসপি-র এই সাংসদ গত দু’সপ্তাহ ধরে বেপাত্তা। মুজফ্ফরনগরে কাদিরের বাড়িতে তাঁর সচিব বলছেন, “উনি কোথায় জানি না। তবে আত্মগোপন করেননি। ওঁকে ফাঁসানো হয়েছে। উনি শীঘ্রই সংবাদমাধ্যমে এসে কথা বলবেন।” ৩০ অগস্ট মুজফ্ফরনগরের জমায়েতে কাদির উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ। এমনিতেই তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, খুন ও ডাকাতির মামলা রয়েছে। এ ছাড়াও যে সব নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা হলেন বিএসপি-রই জামিল আহমেদ এবং নুর সালিম রানা, কংগ্রেস নেতা সইদুজ্জামান এবং বিজেপির ভারতেন্দু সিংহ। মুজফ্ফরনগর পুলিশের দাবি, “যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের প্রত্যেককে ধরা হবে। আমাদের কাছে প্রমাণ আছে।” |
|
|
|
|
|