স্কুলে ঢোকার মুখে বুধবার সকালে তাকে অপহরণ করা হয়েছিল বলে দাবি করল সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্র। আরও দাবি, অপহরণকারীরা তাকে এ দিন গাড়ি করে ইডেন গার্ডেন্স চত্বরে ছেড়ে দেয়। ছাড়া পেয়ে সে এক ট্যাক্সিচালককে ঘটনাটি জানালে তিনি তাকে পুলিশের কাছে পৌঁছে দেন।
লালবাজারের এক কর্তা জানান, অপহরণকারীরা ওই ছাত্রকে কেন নিয়ে গেল এবং বিনা মুক্তিপণে কেনই বা ছেড়ে দিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ছাত্রের কথায় কিছু অসঙ্গতি রয়েছে বলেও জানায় পুলিশ। তবে ছাত্রের দেওয়া বর্ণনা অনুযায়ী দুষ্কৃতীদের ছবি আঁকানো হতে পারে বলে পুলিশ জানায়। দরকারে যেখানে তাকে আটকে রাখা হয়েছিল, সেখানেও তাকে নিয়ে গিয়ে তদন্ত করা হবে।
পুলিশ জানায়, বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ওই ছাত্রকে নিয়ে এক ট্যাক্সিচালক ধর্মতলায় কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের হেড কোয়ার্টার গার্ডের ফাঁড়িতে আসেন। সন্ধ্যায় ছাত্রের বাবা ও মা তাকে সেখান থেকে নিয়ে যান। পুলিশ জানায়, ওই ছাত্র লেক গার্ডেন্স এলাকার একটি স্কুলে পড়ে। তার বাড়ি বাটানগরে। বাবা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী।
ওই ছাত্রের দাবি, এ দিন সকাল দশটা নাগাদ দুই যুবক তাকে অপহরণ করে একটি গাড়িতে তোলে। অপহরণকারীরা তার চোখ-হাত-পা-মুখ বেঁধে দেয়। একটি বস্তিতে নিয়ে গিয়ে রাখা হয় তাকে। বেশ কিছুক্ষণ পরে তাকে ফের গাড়িতে চাপিয়ে চোখ বেঁধে দেওয়া হয়। অনেকটা গিয়ে একটি জঙ্গলের মধ্যে তাকে নামিয়ে দেয় গাড়ির চালক। গাড়িতে তখন চালক ছাড়া আর কেউ ছিল না। বলা হয়, সোজা হেঁটে গেলে একটি রাস্তা পাবে সে।
ছাত্রকে উদ্ধারকারী ট্যাক্সিচালক সুন্দর ঠাকুরের দাবি, ওই ছাত্রের সঙ্গে তাঁর দেখা হয় প্রিন্সেপ ঘাটের কাছে। ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে ওই ছাত্র তাঁকে জানিয়েছিল, কয়েক জন ধাওয়া করেছে তাকে। তাঁর কাছে সাহায্য চাইলে ওই ছাত্রকে চালক এক ট্রাফিক সার্জেন্টের কাছে যান। সার্জেন্টের পরামর্শ মতো তিনি তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে যান। ছাত্রের বাবাকেও ফোন করেন ওই চালক।
ছাত্রের বাবা জানান, তিনি রোজ ছেলেকে লেক গার্ডেন্স স্টেশনে নামিয়ে ওই ট্রেনেই বালিগঞ্জ যান। এ দিনও তা-ই করেছেন। তাঁর স্ত্রী ছেলেকে নিতে বিকেলে স্কুলে গিয়ে জানতে পারেন, ছেলে স্কুলেই যায়নি। এর পরে তাঁরা লেক থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। ইতিমধ্যেই ট্যাক্সিচালকের ফোন আসে। |