উনবিংশ শতাব্দীর ধাঁচে বানানো প্রাসাদোপম বাড়িগুলি সার দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সামনে ঝাঁ চকচকে রাস্তা। বৈভবের এতটুকু অভাব নেই কিয়েভের ভজ্দভজিহেনকা-র আবাসনে। কিন্তু আজ সেটি দাঁড়িয়ে রয়েছে পরিত্যক্ত ভুতুড়ে বাড়ির মতো। রূপকথার মতো সাজালেও বিশেষ ক্রেতা জোটেনি। বিশ্বজুড়ে চলা আর্থিক মন্দার কারণেই না কি এই অবস্থা ভজ্দভজিহেনকায়।
২০০৮ সালের কথা। এই স্বপ্নপুরী বানানোর জন্য ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের ৪২ একর জমি বেছে নিয়েছিল কিয়েভগোরস্ত্রয় নামে একটি সংস্থা। তখনও তাঁরা জানতেন না কী ঘটতে চলেছে ভবিষ্যতে। তাই নতুন প্রকল্প নিয়ে খুব খুশি ছিলেন সংস্থার ডেপুটি হেড তারাস জিয়াবকিন।
বছর ঘুরতেই তৈরি হয়ে যায় আবাসনের বেশ কিছু ফ্ল্যাট। কিন্তু ক্রেতার দেখা মেলে না। আর সে কারণেই কিছু গানের ভিডিও-র শু্যটিং ছাড়া কোনও কিছুই হয় না এখানে। বিশেষ কাউকে আসতেও দেখা যায় না। কারণ যে দু-এক জন এখানে বাড়ি কিনেছেন তাঁরা কেউই থাকেন না। |
কিয়েভের ভজ্দভজিহেনকা-র আবাসন। ছবি ডেলি মেলের সৌজন্যে। |
কিন্তু কেন এই অবস্থা আবাসনটির?
তার উত্তরে তারাস জিয়াবকিন জানিয়েছেন, “আমরা যখন ভজ্দভজিহেনকা বানানোর কথা ভাবি তখন মাথায় ছিল ইউক্রেনের বিত্তশালীদের কথা। সাধারণ মধ্যবিত্তের সাধ্যের বাইরে এই আবাসন। কিন্তু ২০০৮ সাল থেকেই বিশ্বজুড়ে আর্থিক মন্দা শুরু হয়। কেউ তখন ফ্ল্যাট বাড়ি কিনতে চাননি। তবে এখন অবস্থা আগের থেকে একটু ভাল। আমাদের আশা, ২০১৪ সালের মধ্যে আমরা আরও ১৫০টি ফ্ল্যাট বিক্রি করতে পারব।”
কিন্তু তারাসের এই ফ্ল্যাট বিক্রির কথা শুনে তাঁকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন ইউক্রেনের স্থপতি জর্জি ডুচোভিচনি। তাঁর কথায়, “আবাসনটির এখন যা অবস্থা, বিপুল অর্থ ঢেলেও কেউ আর ফ্ল্যাট কিনবে না।” |