সিপিএম-কংগ্রেস কাজিয়ায় পঞ্চায়েতের উপ-সমিতি গঠন ভেস্তে গেল কাটোয়া ২ ব্লকের পলসোনা পঞ্চায়েতে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার।
ব্লক প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত এলাকার সমিতির আসনে জয়ী সদস্যদের নিয়েই তৈরি হয় সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের স্থায়ী সমিতি। ১০ বছর পর এ বার পলসোনা গ্রাম পঞ্চায়েত সিপিএম দখল করেছে। কংগ্রেস পেয়েছে ৬টি আসন। ওই পঞ্চায়েত এলাকার তিনটি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে কংগ্রেস ২টি ও সিপিএম ১টি আসন পেয়েছে।
এ দিন পলসোনা পঞ্চায়েতের সেচ ও সমবায়, শিশু ও নারী কল্যাণ, শিল্প পরিকাঠামো ও শিক্ষা জনস্বাস্থ্য উপসমিতি গঠনের জন্য সভা ডেকেছিল ব্লক প্রশাসন। বেলা ১২ টা নাগাদ কংগ্রেসের ৮ জন ও সিপিএমের ৫ জন সদস্য উপস্থিত হয়। কিন্তু সিপিএমের ৪ জন সদস্য আসেননি।
কংগ্রেসের অভিযোগ, ৪ জন সদস্য উপস্থিত না থাকায় এ দিন সেচ ও সমবায় উপসমিতির ভোটে সিপিএম ৮-৫ ভোটে হেরে যায়। এরপরেই জোর করে ভোট বন্ধ করে দেয় সিপিএমের বহিরাগতরা। শেষে ভোট প্রক্রিয়া বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়। কাটোয়া-২ ব্লক কংগ্রেস নেতা গৌতম ঘোষালের অভিযোগ, “নথিপত্র কেড়ে নিয়ে নতুন করে ভোট করানোর দাবি করে সিপিএম। দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক পুনরায় ভোট নিতে না চাওয়ায় তাঁকে আটকে রাখা হয়।” সিপিএমের বর্ধমান জেলা কমিটির সদস্য তপন কোনার বলেন, “যদি এ ধরণের ঘটনা কেউ করে থাকে তার দায় দল নেবে না।” তাঁর পাল্টা অভিযোগ, এ দিনই দরজা, জানলা বন্ধ করে সিঙ্গি পঞ্চায়েতে উপ সমিতি গঠনের সময় সিপিএমের জয়ী সাত সদস্যকে ঢুকতে দেয়নি তৃণমূল। যদিও তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। |