নিরাপত্তার দাবি নিয়ে মন্ত্রীর কাছে
ত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজের নিরাপত্তার স্বার্থে মেডিকেল কলেজ চত্বরে জবরদখল করে তৈরি দোকান ইতিমধ্যেই উচ্ছেদ হয়েছে। এবার নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের দ্বারস্থ হলেন মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ। কয়েকদিন আগে মন্ত্রী মেডিকেল কলেজ পরিদর্শনে গেলে তাঁর কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেন সুপার। প্রস্তাবিত ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা ও মেডিকেল কলেজ চত্বরের পাঁচিল তৈরির কাজ কবে শুরু করা যাবে তা মন্ত্রীর কাছে জানতে চান তিনি। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী জানান, প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। শীঘ্রই বরাদ্দ অর্থ বরাদ্দ হবে। কাজও শুরু হয়ে যাবে অল্প দিনের মধ্যেই। পাশাপাশি, মেডিকেল কলেজ চত্বরে থাকা স্থায়ী পুলিশ ফাঁড়ি তৈরির ত্বরান্বিত করার আর্জি জানিয়েছেন শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার কারলিয়াপ্পন জায়রামন।
গৌতমবাবু বলেন, “ক্লোজ়ড সার্কিট ক্যামেরা ও পাঁচিল নিয়ে কথা হয়েছে। অর্থ মিললে প্রকল্প দু’টিরই কাজ শুরু করে দেওয়া হবে। প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে মেডিকেল কলেজের নিরাপত্তা জোরদার হবে।” চন্দ্রিমাদেবীও নিরাপত্তার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে ভাবার বিষয়ে জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, “প্রচুর ছেলেমেয়ে পড়তে আসে এখানে। এ ছাড়া প্রতিদিনই কয়েক হাজার লোক চিকিত্‌সার জন্য হাজির হন। প্রত্যেকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা দরকার।”
মেডিকেল কলেজ সূত্রের খবর, গত ৬ মাসে অন্তত ১৫ টি দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যের ঘটনা ঘটেছে। হাসপাতালের সুপার সব্যসাচী দাস বলেন, “আমরা কলেজ চত্বরে প্রায় ৫০ টি ক্লোজ়ড সার্কিট ক্যামেরার দাবি জানিয়েছিলাম। তা মঞ্জুর হয়েছে। তবে এখনও টাকা এসে পৌঁছায়নি। এলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে। এ ছাড়া মেডিকেল চত্বরে একটি স্থায়ী পুলিশ ফাঁড়ি তৈরির দাবিও রয়েছে। সম্ভবত সেটা শীঘ্রই অনুমোদন পেয়ে যাবে।”
শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার জানান, আপাতত মাটিগাড়া থানা থেকে একটি পুলিশ জিপ ও একজন সাব ইন্সপেক্টর দিয়ে মেডিকেল কলেজে ক্যাম্প চালানো হচ্ছে। যা যথেষ্ট নয় বলে সংশ্লিষ্ট কর্তারা স্বীকার করেছেন। মেডিকেল কলেজ সূত্রের খবর, হাসপাতাল চত্বরের মধ্যে রক্ত নিয়ে কালোবাজারি, দালাল চক্রের হাতে প্রতারিত হওয়ার অভিযোগ উঠছে। কিন্তু তদন্ত করতে গেলে সঠিক পরিচয় জানাতে পারছেন না রোগীর আত্মীয়রা। রক্ত নিয়ে কালোবাজারির অভিযোগ তুলেছেন পশ্চিমবঙ্গ ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স ফোরামের সদস্য সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, “অসাধু ব্যক্তি রক্ত কেনাবেচা করছে। হাসপাতাল চত্বরে কোনও গণ্ডগোল বাঁধলে পরে সকলকে চিহ্নিত করা যায় না। ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা থাকলে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.