চলতি বছরে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পাওয়া জেলার ১১ জন কৃতী ছাত্র-ছাত্রীকে ডঃ. চন্দ্রকান্ত পাটিল পুরস্কার দিয়ে সংবর্ধিত করল পুরুলিয়ার একটি সংস্থা। সম্প্রতি শহরের হরিপদ সাহিত্য মন্দির প্রেক্ষাগৃহে একটি অনুষ্ঠানে কৃতীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন শহরের বিশিষ্টজনেরা। আয়োজক সংস্থার পক্ষে মণীশ পাল জানান, চন্দ্রকান্ত পাটিল মহারাষ্ট্রের পুণের বাসিন্দা ছিলেন। ২০০৮ সালে বিহারে বন্যাত্রাণে কাজ করতে গিয়ে বজ্রাঘাতে মাত্র চব্বিশ বছর বয়সে কর্তব্যপরায়ণ ওই চিকিৎসকের অকাল মৃত্যু হয়। মণীশবাবুর কথায়, “আগামী দিনে চিকিৎসক হতে চলা আমাদের জেলার কৃতী সন্তানেরা যাতে এই মহান মানুষটির আদর্শ স্মরণে রাখেন, সে জন্যই আমরা তাঁর নামাঙ্কিত পুরস্কার ওঁদের হাতে তুলে দিলাম।” অনুষ্ঠানে ছেলের হয়ে এই পুরস্কার নেওয়া পুরুলিয়া সদর হাসপাতালের চিকিৎসক হরিমোহন দে বলেন, “আমি নিজে চিকিৎসক। যাঁর নামাঙ্কিত পুরস্কার ছেলের হয়ে গ্রহণ করলাম, তাতে ছেলের সঙ্গে সঙ্গে আমি নিজেও গর্বিত হলাম।” কৃতীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিয়ে শহরের বিশিষ্ট চিকিৎসক সনাতন দত্ত বলেন, “আমি নিজের ৩৭ বছরের চিকিৎসক জীবনে যা করতে পারিনি, চন্দ্রকান্ত পাটিল তিন বছরের চিকিৎসক জীবনে তা করে দেখিয়েছেন।” অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রকান্তের বাবা উমাকান্ত পাটিল ও মা লতা পাটিল। তাঁরা দু’জনেই ছাত্র-ছাত্রীদের আশীবার্দ করেন। ছিলেন পুরুলিয়ার সাংসদ নরহরি মাহাতো, পুরপ্রধান তারকেশ চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।
|
কুমারগ্রাম ব্লকে ডেঙ্গিতে এক মহিলা আক্রান্ত হয়েছেন। নাম জয়া টপ্পো। বাড়ি ব্লকের ফাঁসখোয়া চা বাগানে। ময়নাবাড়ি এলাকার রঞ্জন সরকার ও জুমজিরি নিম্বু নামে দু’জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হন। ৭ দিনে কুমারগ্রামে তিন জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হলেন। বিএমওএইচ সৌম্যজিত্ পুরকাইত এ দিন বলেন, “ডেঙ্গিতে আক্রান্তদের চিকিত্সা করা চলছে। ডেঙ্গি রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে।
|
কামদুনিতে ধর্ষিত ও নিহত ছাত্রীর বাবা ও মা বেশ কিছু দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। মঙ্গলবার তাঁদের আর জি কর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসকেরা জানান, তাঁদের নিয়ে আশঙ্কার কারণ নেই। এক মাস আগে বাবার ছানি কাটানো হয়েছিল। পেটে আলসার ধরা পড়েছিল। মেয়ের মৃত্যুর পরে মা খাওয়া প্রায় ছেড়ে দিয়েছেন। ডাক্তার বলছেন, রক্ত কমে গিয়েছে। |