আন্দোলনের ধার বাড়াতে একজোট বামফ্রন্ট
লোকসভা ভোটের আগে একাধারে সংগঠনকে চাঙ্গা ও সরকারকে চাপে ফেলার চেষ্টা করতে হবে। সেই লক্ষ্যে উৎসবের মরসুম শেষে আন্দোলনের গতি বাড়াতে হবে। তার রূপরেখা ঠিক করতে সব গণসংগঠনকে একত্রে নিয়ে রাজ্য স্তরে কনভেনশন করবে বামফ্রন্ট। কনভেনশন হবে প্রতি জেলাতেও। আন্দোলনের ধার বাড়াতে মঙ্গলবার শ্রমিক ভবনে বামফ্রন্টের সব শরিক দলের সবক’টি গণসংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে বসেছিল যৌথ বৈঠক। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, কৃষিক্ষেত্রের সঙ্কট, কর্মসংস্থানের দাবি, শিক্ষাঙ্গনে নৈরাজ্য, লাগাতার নারী নির্যাতন, আইনশৃঙ্খলার ক্রমাবনতি সাম্প্রতিক এই সব বিষয় নিয়েই আন্দোলনের কথা হয়েছে বৈঠকে। কিন্তু তার ধরন কী হবে, ঠিক কী কর্মসূচিই বা নেওয়া হবে, সে সব প্রশ্নের ফয়সালা করা হবে কনভেনশনে আলোচনা করেই। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মদন ঘোষ এ দিনের বৈঠকে পরামর্শ দিয়েছেন, একেবারে নীচের তলা থেকে আন্দোলনের কর্মসূচি নিতে হবে। উৎসবের মরসুম কেটে গেলে নভেম্বরের শেষ থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় এই কাজে লাগাতে চান বাম নেতৃত্ব। তার পরে লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু হয়ে যাবে। নরেন্দ্র মোদী বিজেপি-র প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে ঘোষিত হওয়ার পরে সাম্প্রদায়িকতা-বিরোধী প্রচারও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ছাত্রনেতা সুদীপ্ত গুপ্তের মৃত্যুর বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি অব্যাহত রাখার দাবিও উঠেছিল। সিটু নেতা শ্যামল চক্রবর্তী শিক্ষাঙ্গনে নৈরাজ্যের প্রতিবাদের সঙ্গেই সুদীপ্ত-প্রশ্ন জুড়ে নিয়ে আন্দোলনের পরামর্শ দিয়েছেন। আজ, বুধবারই রাজ্য বামফ্রন্টের বৈঠকে ভবিষ্যতের কর্মসূচি সম্পর্কে আরও একপ্রস্ত আলোচনা হওয়ার কথা।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.