অভিযুক্তকে ধরতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাঁকুড়া |
একাধিক চুরি-ডাকাতির ঘটনায় অভিযুক্তকে ধরতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে কার্যত খণ্ডযুদ্ধ বেধে গেল স্থানীয় বাসিন্দাদের। ইটের ঘায়ে জখম হলেন টাউনবাবু এবং এক এনভিএফ কর্মী। মাঝখান থেকে চম্পট দিল অভিযুক্ত। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার কেঠারডাঙা এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত বাঁকা খানের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। এ দিন তাকে ধরতেই বাঁকুড়া সদর থানা থেকে পুলিশের একটি দল কেঠারডাঙা যায়। বাঁকাকে গ্রেফতার করতে পুলিশ এসেছে শুনেই তার বাড়ির লোকজন এবং এলাকার কিছু বাসিন্দা পুলিশকর্মীদের পথ আটকায়। পুলিশ জোর করে এলাকায় ঢুকতে গেলে জনতা ইট ছোড়ে বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ডিএসপি (আইনশৃঙ্খলা) কৃশানু রায় র্যাফ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এই সবের ফাঁকেই পুলিশের অলক্ষে এলাকা থেকে চম্পট দেয় বাঁকা। জনতার ছোড়া ইটে জখম হন বাঁকুড়া সদর থানার টাউনবাবু রামনারায়ণ পাল এবং এনিভিএফ কর্মী স্বপনকুমার মাহাতো। বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে তাঁদের চিকিৎসা চলছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। বাঁকুড়া জেলার পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বলেন, “অভিযুক্তকে ধরতে গেলে পুলিশের দিকে ইট ছোড়েন কিছু মানুষ। দু’জন জখম হয়েছেন। বাঁকার খোঁজ চলছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
|
বড়জোড়ায় চুরি
নিজস্ব সংবাদদাতা • বড়জোড়া |
পরপর চারটি বাড়িতে চুরি হল। সোমবার রাতে বড়জোড়ার মেটালা গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, চারটি বাড়ি থেকে নগদ কয়েক হাজার টাকা ও কিছু গয়না চুরির অভিযোগ হয়েছে। স্থানীয় সূত্রের খবর, মেটালা গ্রামের রায়পাড়া এলাকার শ্যামাপদ রায়, ভরত গরাই, লক্ষ্মণচন্দ্র শ্যাম ও বরুণ পালের বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। চুরির খবর পেয়ে সরেজমিনে তদন্ত করতে ঘটনাস্থলে যান ডিএসপি (প্রশাসন) অম্লান ঘোষ। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত অবশ্য পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বড়জোড়া থানা এলাকায় চুরি, ছিনতাই, অপহরণের মতো কিছু ঘটনা ঘটে চলেছে। যার ফলে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারাই। পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বলেন, “সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |